সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভী/ ছবি: ঢাকা পোস্ট

আওয়ামী লীগ সরকার বিএনপিকে ধারাবাহিকভাবে ধ্বংস করার অংশ হিসেবে ২০০২ সালে শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলার ‘মিথ্যা’ অভিযোগে করা মামলাটি দীর্ঘদিন পর পুনরুজ্জীবিত করে রায় দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

তিনি বলেছেন, ‘এই মামলায় শেখ হাসিনার সর্বশেষ শিকার বিএনপির প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক সাবেক এমপি হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ দলের ৫০ জন নেতাকর্মী। অথচ সেদিন হাবিবুল ইসলাম হাবিব ঢাকায় অবস্থান করছিলেন।’

বৃহস্পতিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

প্রসঙ্গত, সাতক্ষীরায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলা মামলায় আজ বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সাবেক এমপি হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ ৫০ আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

রিজভী দাবি, এই মিথ্যা মামলাটি দিয়ে আওয়ামী লীগ প্রতিশোধ গ্রহণের খেলায় মেতেছে তার প্রমাণ, ঢাকা থেকে একজন অ্যাডিশনাল এটর্নি জেনারেল ও তিনজন ডেপুটি এটর্নি জেনারেলকে সাতক্ষীরায় পাঠানো হয়েছিল মামলাটিকে নিজেদের অনুকূলে নিয়ে আসার জন্য, যা নজিরবিহীন ঘটনা।

‘শেখ হাসিনার সরকার অত্যন্ত ষড়যন্ত্র অভিলাষী সরকার’ বলে অভিযোগ করে রিজভী বলেন, ‘কারণ তারা সম্পূর্ণরূপে জনগণের কাছ থেকে দূরে সরে গেছে।’

আওয়ামী লীগ আদালতকে ব্যবহার করে ‘নির্দোষ’ রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে সাজা দেয় উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘এর শিকার হয়েছেন খালেদা জিয়া, তারেক রহমান এবং বিএনপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দসহ দেশের লাখ লাখ নেতাকর্মী।’

বর্তমানে দেশে রাজনৈতিক পরিস্থিতি অনিশ্চয়তায় বিরাজ করছে বলে উল্লেখ করে রিজভী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর কপালে দুশ্চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। নিজেদের নির্দয় দুঃশাসন ও কুৎসিত মাফিয়া শাসনের ঘটনা দেশে-বিদেশে প্রচারকে আড়াল করতেই আজ তড়িঘড়ি করে হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ সাতক্ষীরার স্থানীয় বিএনপি নেতৃবৃন্দকে সাজা দেওয়া হলো।’

বিএনপির সিনিয়র এ যুগ্মসচিব আরও বলেন, ‘বারইয়ারহাট পৌরসভা নির্বাচনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী দিদারুল আলম মিয়াজীর সমর্থনকারী ছিলেন আলমগীর রাসেল। গত রাত ৯টায় তার বাড়ির সামনে থেকে তাকে অপহরণ করে নিয়ে যায় নৌকা মার্কার প্রার্থীর সন্ত্রাসীরা।’

এএইচআর/এফআর