লকডাউনের কারণে বন্ধ রাখতে হচ্ছে দোকানপাট

করোনাভাইরাসের প্রভাবে সারাবিশ্বের বিভিন্ন দেশের মতো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কানাডার অর্থনীতি। দেশটির অর্থনীতি সচল করতে বিভিন্ন প্রদেশের প্রিমিয়ার, সিটি করপোরেশনের মেয়র, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা এবং নীতিনির্ধারকদের অনেকটা বেগ পেতে হচ্ছে।

মহামারির এই সময়ে অনেকেই বাড়িতে বসে কাজ করেছেন। শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোতে আগের গতি পরিলক্ষিত হচ্ছে না। লকডাউনের শিথিলতায় রেস্টুরেন্টগুলো খোলা হলেও তেমন ব্যবসা করতে পারছে না।

ক্ষুদ্র আকারের অনেক ব্যবসায়ই স্তিমিত হয়ে আছে এবং অনেক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে। করোনার কালো থাবায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এয়ারলাইন্স ও রেস্টুরেন্ট ব্যবসা। আর এই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে সরকার ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের অনেক বেগ পেতে হবে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ঘাটতি পূরণে যদি ফেডারেল ও প্রাদেশিক সরকার এগিয়ে না আসে তাহলে মূলধনী প্রকল্পগুলো হয় বাতিল করতে হবে না হয় পিছিয়ে দিতে হবে এবং রিজার্ভ তহবিল থেকে অর্থ দিতে হবে।

বড় কোম্পানির কর্মী ছাঁটাই

কোভিড-১৯ সংক্রান্ত লকডাউনের কারণে স্টোর খোলা রাখা সম্ভব না হওয়ায় কানাডাজুড়ে ৬০০ কর্মীকে স্থায়ীভাবে ছাঁটাই করতে যাচ্ছে হাডসন’স বে কোম্পানি। এই তথ্য জানিয়ে খুচরা বিক্রয় প্রতিষ্ঠানটির মুখপাত্র টিফানি বৌর বলেন, কোম্পানির প্রায় অর্ধেক স্টোরই বর্তমানে বন্ধ রয়েছে।

টিফানি বৌর বলেন, পরিস্থিতির কারণেই হাডসন’স বে কোম্পানিকে এই সমন্বয় করতে হচ্ছে। কঠিন এই সময়ে যারা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন তাদের প্রতি স্বচ্ছ আচরণ ও সম্মান দেখানোর বিষয়ে কোম্পানি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

উল্লেখ্য, কানাডার সরকার করোনা মহামারির প্রথম থেকেই নাগরিকদের সুস্বাস্থ্য ও অর্থনীতিক স্বাভাবিক রাখতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে, যা এখনও বলবৎ রয়েছে। সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, অব্যাহত করোনার এই সময়ে সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ প্রশংসার দাবি রাখে। অন্যদিকে, শুরু হওয়া ভ্যাকসিন প্রয়োগও ধীরে ধীরে কানাডিয়ানদের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে ভূমিকা রাখবে।

কানাডায় এ পর্যন্ত প্রাণঘাতী এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন আট লাখ ৩৩ হাজার ২২৪ জন। ভাইরাসটি দেশটিতে প্রাণ কেড়ে নিয়েছে ২১ হাজার ৪১৯ জনের। বিশ্বব্যাপী ভাইরাসটিতে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ১১ কোটির বেশি মানুষ। প্রাণ কেড়ে নিয়েছে ২৪ লাখের বেশি আক্রান্ত ব্যক্তির।

এফআর