অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন শহরের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালিত হয়েছে। করোনার মহামারির কারণে শোক দিবসের অনুষ্ঠানগুলো এ বছর ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ হাই কমিশন অস্ট্রেলিয়াসহ বেশ কয়েকটি সংগঠন যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি পালন করেছে।

মেলবোর্নে শোক দিবস

দিবসটি উপলক্ষে স্থানীয় সময় রোববার মেলবোর্ন আওয়ামী লীগ অস্ট্রেলিয়া শাখার উদ্যোগে এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন মেলবোর্ন আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ড. মাহবুবুল আলম। সাধারণ সম্পাদক মোল্লা মো. রাশিদুল হক সবাইকে স্বাগত জানিয়ে কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে কর্মসূচির সূচনা করেন। পরে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের সব শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

আলোচনা সভায় বঙ্গবন্ধুর জীবনী ছাড়াও এই হত্যাকাণ্ডের বিচার এবং হত্যাকাণ্ডের পরবর্তী বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে এক গবেষণামূলক প্রতিবেদন নিয়ে আলোচনা করা হয়।

সিডনিতে শোক দিবস

বাণিজ্যিক শহর সিডনিতে ভার্চুয়াল জাতীয় শোক দিবস পালন করেছে বঙ্গবন্ধু পরিষদ অস্ট্রেলিয়া।  সংগঠনের সভাপতি ড. রতন কুন্ডু এতে সভাপতিত্ব করেন। সাধারণ সম্পাদক রফিক উদ্দিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অস্ট্রেলিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সুফিউর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন কনসাল জেনারেল ফর বাংলাদেশ জনাব খন্দকার মাসুদুল আলম ও ঢাকা থেকে যুক্ত হয়েছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম। প্রধান বক্তা ছিলেন মেকিউরি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের সাবেক ডিন এমিরিটাস অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম।

এছাড়াও সিডনিতে অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশ জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগেও জাতীয় শোক দিবস পালন করা হয়। মোহাম্মদ আব্দুল মতিনের সভাপতিত্বে শহরের বিভিন্ন সংগঠন, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক ব্যক্তি এতে অংশ নেন। বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল সিডনিতে পতাকা অর্ধ নমিত করে শোক দিবস পালনে অংশ নেন।

ক্যানবেরাতে শোক দিবস

ক্যানবেরাতে অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশন অস্ট্রেলিয়া জাতীয় শোক দিবস পালন করেছে। শোক সভায় সভাপতিত্ব করেন হাইকমিশনার সুফিউর রহমান। ভার্চুয়াল এ সভায় অংশ নেন স্থানীয় সংগঠনগুলোর নেতা কর্মীসহ বিভিন্ন পেশার প্রবাসীরা। সভার শুরুতে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। আলোচনা শেষে  বঙ্গবন্ধুর জীবনীর ওপর তথ্যমূলক আলোচনা করেন হাইকমিশনার সুফিউর রহমান।

এসআই/এমএইচএস