করোনায় ভাগ্য খুলল বাংলাদেশি আম্পায়ারদের
বিশ্ব ক্রিকেটে নিজেদের অবস্থান বেশ শক্ত করেছে বাংলাদেশ। ক্রমশ পারফরম্যান্সে উন্নতি করে সমালোচকদের থেকেও প্রশংসা কুড়াচ্ছে। তবে বাংলাদেশি আম্পায়াররা এখনো নিজেদের প্রমাণের মঞ্চ খুঁজে পাননি। ঘরের মাঠে টাইগারদের কোনো সিরিজ হলে রঙিন পোশাকের ক্রিকেটে সীমিত পরিসরে ম্যাচ পরিচালনার সুযোগ পান। টেস্টে উপেক্ষিত থেকে যেতে হয়। এবার সেই সুযোগ পাচ্ছেন তারা।
করোনায় বদলে গেছে জীবনযাপন। বদল এসেছে ক্রিকেটের বেশ কিছু নিয়মে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা তাদের এক সিদ্ধান্তে জানিয়েছে, এখন থেকে টেস্ট ম্যাচ পরিচালনার দায়িত্বে থাকবেন স্থানীয় আম্পায়াররা। যা আগে নিরপেক্ষ আম্পায়দের মাধ্যমে পরিচালিত হতো।
বিজ্ঞাপন
আইসিসির এমন সিদ্ধান্তে ভাগ্য খুলেছে বাংলাদেশি আম্পায়ারদের। ঘরের মাঠে কোনো সিরিজ হলে সেখানে সুযোগ পাবেন বাংলাদেশি আম্পায়াররা। দেশের বাইরে বা আইসিসির বড় কোনো ইভেন্টে রীতিমত বঞ্চিত থাকতে হতো তাদের। এজন্য টেস্ট ম্যাচ পরিচালনার সুযোগ পেতেন না তারা।
আইসিসির নতুন এই নিয়মের কারণে ঘরের মাঠে আসন্ন বাংলাদেশ বনাম ওয়েস্ট সিরিজের মধ্যকার টেস্ট ম্যাচ পরিচালনা করবেন স্থানীয় আম্পায়ররা। এটিকে বড় সুযোগ হিসেবে দেখছেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার ও আম্পায়ার এনামুল হক মণি। এখানে ভালো করতে পারলে আইসিসিকে একটি ইতিবাচক বার্তা দেওয়া যাবে বলে মনে করেন তিনি।
বিজ্ঞাপন
রোববার গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে মণি বলেন, ‘টেস্ট ম্যাচে আম্পায়ারিং করা সৌভাগ্যের ব্যাপার এবং বিরাট অর্জন, বিরাট সুযোগ। আমার মনে হয় বাংলাদেশের আম্পায়ারদের জন্য একটা সুযোগ হতে যাচ্ছে। এখনো পর্যন্ত জানি যে স্থানীয় আম্পায়াররাই আম্পায়ারিং করবে।’
মণি আরো জানান, ‘তো এই সুযোগটা কাজে লাগিয়ে আমরা পারফরম্যান্স যদি শো করতে পারি তিনটি জায়গায়, মাঠে এবং টিভিতে, তাহলে আমার মনে হয় বাংলাদেশি আম্পায়ারদের নিয়ে আইসিসির দ্বিতীয় ভাবনা আসবে। আমাদের আম্পায়াররা ডিজার্ভ করে উপরে যাওয়ার জন্য।’
এমএইচ