অন্ধকার দিন পেছনে ফেলে ফেরার অপেক্ষায় অনিক
ছবি: সংগৃহীত
২০১৮ সালের নভেম্বরে ডোপ টেস্টে পজিটিভ হয়েছিলেন পেসার কাজী অনিক। তার পজিটিভ হওয়ার খবরটি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে (বিসিবি) আসে ২০১৯ সালের মার্চ মাসে। তার এক মাস আগে অর্থাৎ ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে অনিককে সব ধরনের ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ করে আইসিসি। দুই বছরের নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ করে গত ৭ ফেব্রুয়ারি সাজা মুক্ত হয়েছেন তিনি। নিষেধাজ্ঞা থেকে মুক্ত হয়ে ঘরোয়া ক্রিকেটে ফেরার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন অনিক।
অনিক যে বছর ডোপ টেস্টে পজিটিভ হন, সে বছরই অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ খেলতে নেমেছিলেন তিনি। সেই বিশ্বকাপে বাংলাদেশের যুবারা ব্যর্থ হলেও ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সে উজ্জ্বল ছিলেন যে কজন ক্রিকেটার, তাদের একজন অনিক। বিশ্বকাপ খেলে ফেরার পরেই কক্সবাজারে জাতীয় ক্রিকেট লিগ খেলার সময় ডোপ পরীক্ষা করা হয় তার। সেখানে উৎরাতে ব্যর্থ হন অনিক। ফলে বিসিবির মাদক বিরোধী আইন ৮.৩ ধারা ভঙ্গের কারণে দুই বছর নিষিদ্ধ করা হয় তাকে।
বিজ্ঞাপন
দুই বছরের নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ করে গত ৭ ফেব্রুয়ারি সাজা মুক্ত হয়েছেন অনিক। এখন আর ক্রিকেটে ফিরতে বাঁধা নেই তার। আপাতত ঘরোয়া ক্রিকেটকে পাখির চোখ করছেন অনিক। করোনার পর ন্যাশনাল ক্রিকেট লিগ (এনসিএল) দিয়ে শুরু হবে বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের মৌসুম। এ টুর্নামেন্টে খেলতে নিজেকে প্রস্তুত করছেন অনিক। এজন্য বোর্ডের বেঁধে দেওয়া সময় অনুযায়ী আগামী ১৪ থেকে ১৬ ফেব্রুয়ারির মধ্যে টুর্নামেন্টে অংশ নিতে যাওয়া অন্যান্য ক্রিকেটারদে সঙ্গে তিনিও ফিটনেস টেস্ট দিবেন। সেখানে টিকলেই প্রত্যাবর্তন হবে তার।
নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ করা কাজী অনিক ঢাকা পোস্টকে জানান, ‘গত ৭ ফেব্রুয়ারি আমার নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ হয়েছে। বোর্ড থেকে চূড়ান্তভাবে আমাকে এখনো কিছু জানানো হয়নি। যদিও নিষেধাজ্ঞার সময়ও তেমন কিছু বলেনি। শুধু ফোন করে বিষয়টি জানিয়েছিল। আমি যেটুকু জানি, এখন ক্রিকেটে ফিরতে কোনো বিধিনিষেধ নেই। আমি নিজেকে সেভাবেই প্রস্তুত করছি।’
বিজ্ঞাপন
অনিক আরও বলেন, ‘এই দুই বছর আমি ক্রিকেটের সঙ্গে ছিলাম না ঠিক, তবে ব্যক্তিগতভাবে অনুশীলন চালিয়ে গেছি। ফিটনেস নিয়ে কাজ করে গেছি। আমার মনেহয় না ফিটনেস নিয়ে আমার কোনো সমস্যা হবে। এ মুহূর্তে আমার দৃষ্টি ক্রিকেটে ফেরা নিয়ে। সামনে এনসিএল শুরু হচ্ছে। এর জন্য ফিটনেস টেস্ট আছে। সবকিছুর জন্য প্রস্তুত হচ্ছি।’
বাংলাদেশের হয়ে বয়সভিত্তিক দলে আলো ছড়িয়েছেন অনিক। তার দ্রুতগতির বোলিং করার সামর্থ্য আলাদা করে চিনিয়েছে তাকে। বাংলাদেশ পেস বোলিং বিভাগের ভবিষ্যৎ কাণ্ডারিও ভাবছিলেন কেউ কেউ। অথচ মাত্র ২১ বছর বয়সেই ভয়ঙ্কর এমফেটামিন ড্রাগ নিয়ে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ হন অনিক। এমফেটামিন মূলত ইয়াবার একটি উপাদান। তবে সরাসরি এই ড্রাগ সেবন করলে ইয়াবার চেয়ে অনেক বেশি প্রতিক্রিয়া তৈরি করে মানবদেহে। এটিকে ক্রিস্টাল মেথ বা আইস'ও বলা হয়।
টিআইএস/এটি