তবু না পাওয়ার হতাশা জোসেফ-সিলভার
জশুয়া ডি সিলভা। ছবি : বিসিবি/রতন গোমেজ
দারুণ ব্যাটিংয়ে দলকে এনে দিয়েছেন চালকের আসনে। তবু কোথাও যেন না পাওয়ার আক্ষেপ। জশুয়া দা সিলভা ও আলজারি জোসেফ দু’জনেই থেমেছেন শতক থেকে একটু দূরে। না পাওয়ার হতাশা তাই পোড়াচ্ছে দুই ক্যারিবীয়কে।
জোসেফ হতাশ হলেও তাকাচ্ছেন ভবিষ্যতের দিকে, ‘শতকের কাছে এসেও ফিরে আসাটা হতাশার। কিন্তু আমি এ নিয়ে কাজ করছি অনেক দিন ধরেই। এখন না হলেও ভবিষ্যতে এমন সুযোগ আরও আসবে আমার সামনে।’
বিজ্ঞাপন
অথচ উইকেটে যখন এসেছেন, লক্ষ্য ছিল জশুয়া দা সিলভাকে সঙ্গ দেয়ার। জোসেফের ভাষ্য, ‘যখন আমি উইকেটে এসেছি, লক্ষ্য ছিল কিছু সময় ব্যাট করার, জশকে (জশুয়া দা সিলভা) সমর্থন দিয়ে যাওয়ার। সে দারুন ব্যাট করছিল।’
৮০ রানের জুটির কৃতিত্বের সিংহভাগটাই সঙ্গী জশুয়াকে দিলেন জোসেফ। একরাশ প্রশংসাও ঝরে পড়লো তার কণ্ঠে, ‘জশ দারুণ ব্যাট করছিল। কেবল তৃতীয় টেস্ট তার, এ সময়েই দারুণ পরিপক্ব তার ব্যাটিং, উইকেটরক্ষণও বেশ। তার জুটি গড়ে তোলার সাহসটা দারুণ। সে ছোট ছোট লক্ষ্যে ছোটে, দশ রান করে। পরের দশ রানে আবারও শূন্য থেকে শুরু করে সে, তারপর এমনটা চলতেই থাকে। এভাবেই আশি রানের জুটি দাঁড়িয়ে গিয়েছিল আমাদের।’
বিজ্ঞাপন
তবে সঙ্গীর প্রশংসা জুটলেও শতক না পাওয়ার হতাশা পেয়েছে জশুয়াকেও। তিনি বলেন, ‘আমি ভাষায় প্রকাশ করতে পারবো না আট রান দূরে থেকে বিদায় নেওয়াটা কেমন অনুভূতি দেয়। আশা করছি পরেরবার এমনটা হবে না আমার।’
তার আর জোসেফের ৮০ রানের জুটিতেই বড় সংগ্রহে পৌঁছেছে উইন্ডিজ। তবে এর কৃতিত্ব সঙ্গীকেও দিচ্ছেন জশুয়া, ‘আলজারির উপর আমার পূর্ণ আস্থা ছিল। পেসের বিপক্ষে যখন ব্যাট করছিল, আমি আত্মবিশ্বাসী ছিলাম।’
দ্বিতীয় দিন শেষেই যে উইন্ডিজ চালকের আসনে, কথাটা তামিম ইকবাল অকপটেই স্বীকার করে নিয়েছিলেন। নিজেদের শ্রেয়তর অবস্থানে থাকার কথাটা বিশ্বাস করছে উইন্ডিজও, জানাচ্ছেন জশুয়া। তিনি বলেন, ‘আমরা শীর্ষে আছি এখন। কিন্তু একে সহজভাবে মেনে নেওয়া উচিত হবে না আমাদের। প্রথম ইনিংসের সবকটা উইকেট আগে তুলে নিতে হবে আমাদের, এরপর বাকি সব উইকেট তুলে নিয়ে টেস্টটাই জেতার চেষ্টা করতে হবে।’
এনইউ/এমএইচ