তিরিপানো আর উইলিয়ামসনের ১২৪ রানের জুটিতেই আফগানদের লিড দিতে সক্ষম হয় জিম্বাবুয়ে/ছবি: ইএসপিএন ক্রিকইনফো

সংক্ষিপ্ত স্কোর:
আফগানিস্তান ১ম ইনিংস: ৫৪৫/৪ (ডি.)
জিম্বাবুয়ে ১ম ইনিংস: ২৮৭
জিম্বাবুয়ে ২য় ইনিংস: ২৬৬/৭ ফ/অ (কাসুজা ৩০, উইলিয়ামস ১০৬*, তিরিপানো ৬৩*; রশিদ ১০৫-৫)

দুই ওভারের ব্যবধানে নেই তিন উইকেট। ১৪২ রানে সপ্তম ব্যাটসম্যানকে হারানোর পর প্রথম টেস্ট দুই দিনেই জেতা জিম্বাবুয়ের ইনিংস পরাজয়টাকেই মনে হচ্ছিল ভবিতব্য, যা এড়ানো ছিল প্রায় অসম্ভব। কিন্তু দিন শেষে সে ‘প্রায় অসম্ভবটাকেই’ সম্ভবে পরিণত করেছে দলটি। অবিচ্ছিন্ন ১২৪ রানের জুটি গড়ে যার কুশীলব বনে গেছেন শন উইলিয়ামস আর ডোনাল্ড তিরিপানো। 

প্রথম ইনিংসে রাশিদ খান শিকার করেছিলেন চার উইকেট, জিম্বাবুয়ে পড়েছিল ফলো অনের কবলে। আফগান এই স্পিনারের ঘুর্ণির সামনে শনিবারও খাবি খেয়েছে জিম্বাবুয়ে। ২৪ রান নিয়ে দিন শুরু করা দলটি শুরুর কঠিন সময়টা অবশ্য কাটিয়েছে ভালোভাবেই। যার প্রধান কৃতিত্ব যায় প্রিন্স মাসভাউরে আর কেভিন কাসুজার ঝুলিতে। দিনের ১২ ওভার পর্যন্ত বাউন্ডারি হাঁকানোয় মনোযোগই দেননি দুজনে। তবে যখন মনোযোগ দিলেন, মাসভাউরে জাভেদ আহমাদির এক ওভারেই হাঁকালেন দুটো চার।

তাতে মনোযোগেও যেন কিছুটা ছেদ পড়ল। জাভেদের পরের ওভারেই ফিরতি ক্যাচ দিয়ে আউট হন মাসভাউরে (১৫)। এতক্ষণ রশিদ খানকে আক্রমণে আনা হয়নি। যখন এলেন, শুরুর ওভারেই আঘাত হানলেন আফগান এই স্পিনার। তার গুগলি বুঝতেই পারেননি কাসুজা, ক্যাচ যায় প্রথম স্লিপে। ৩০ রান নিয়ে সাজঘরে ফেরেন কাসুজা। সে সেশনে আর উইকেট হারায়নি সফরকারীরা।

পরের সেশনের শুরুটাও ভালো করেছিল দলটি। তবে হঠাৎই তাদের ইনিংসে যেন ধ্বস নামে। তারিসাই মুসাকান্দাকে দ্রুত ফেরান রশিদ। পরের ওভারে এসে ওয়েসলি মাধেভেরেকে আউট করেন অভিষিক্ত সায়েদ শিরজাদ। প্রথম ইনিংসেও বাঁ হাতি এই পেসারের বলেই শূন্য রানে ফিরেছিলেন মাধেভেরে, দ্বিতীয় ইনিংসেও ঘটে একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি।

পাল্টা আক্রমণে প্রতিরোধের ইঙ্গিত দিলেও সিকান্দার রাজা রশিদের শিকার হয়ে ফেরেন ২২ রানে। এর তিন বল পরেই রায়ান বার্লকে রানের খাতা খোলার আগে এলবিডব্লিউ ফাঁদে ফেলেন রশিদ। এরপর রেজিস চাকাভাকে তুলে নিয়ে ক্যারিয়ারের চতুর্থ ম্যাচে চতুর্থবারের মতো ৫ উইকেট শিকার করেন আফগান এই স্পিনার।

১৪২ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে জিম্বাবুয়ে তখন অকূল পাথারে। ইনিংস হার এড়াতেই তখন দলটির প্রয়োজন ১১৬ রান। এরপরই উইলিয়ামস-তিরিপানোর প্রতিরোধ। ধৈর্যের প্রতিমূর্তি হয়ে তিরিপানো অর্ধশতক ছুঁয়ে ফেলেন ১১৪ বলে। আর উইলিয়ামস ১৭৩ বলে স্পর্শ করেন তিন অঙ্ক। দু’জনের কল্যাণে শেষ সেশনে আফগানদের ৩৪টি উইকেটশূন্য ওভার আর আরো অপেক্ষা উপহার দেয় জিম্বাবুয়ে। তাতে আফগানদের লিড দেওয়া হয়ে যায় দলটির, খেলাও গড়ায় পঞ্চম দিনে।

এনইউ