ছবি: সংগৃহীত

সংক্ষিপ্ত স্কোর

অস্ট্রেলিয়া: ১৯৫ (ওয়েড ৩০, লাবুশেন ৪৮, হেড ৩৮; বুমরাহ ৫৬-৪, অশ্বিন ৩৫-৩, সিরাজ ৪০-২)

ভারত: ৩৬-১ (গিল ২৮; স্টার্ক ১৪-১)

অ্যাডিলেইডে ৩৬ রানে অলআউট হওয়ার স্মৃতি এখনো তরতাজা ভারতের। আজ থেকে শুরু হওয়া দ্বিতীয় টেস্টে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়াকে ঠিক সে বিস্বাদ ফেরত দিতে না পারলেও টানা দ্বিতীয় টেস্টে দুইশ রানের নিচেই বেঁধে রেখেছে অজিঙ্কা রাহানের দল। মেলবোর্ন টেস্টের প্রথম ইনিংসে অজি ইনিংস শেষ হয়েছে মাত্র ১৯৫ রানে।

দিনের শুরুটা হয়েছিলো স্বাগতিকদের পক্ষেই। টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক টিম পেইন। তবে সে সিদ্ধান্তকে ভুল প্রমাণ করতে খুব বেশি সময় নেননি ভারতীয় বোলাররা। দিনের শুরু থেকেই ‘করিডোর অফ আনসার্টেইন্টি’ ধরে ক্রমাগত বল করে যাওয়া জশপ্রিত বুমরাহ সফলতা পান নিজের তৃতীয় ওভারেই। রানের খাতা না খোলা জো বার্নসের ব্যাটের কোনা ছুঁয়ে বল জমা পড়ে উইকেটরক্ষক রিশাভ পান্টের গ্লাভসে।

বুমরাহর ওপেনিং-সঙ্গী উমেশ যাদব অবশ্য শুরুর ঘণ্টায় ছিলেন বেশ সাদামাটা। তার বদলে শুরুর দিকেই আক্রমণে রবিচন্দন অশ্বিনকে আনেন ভারতের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক রাহানে। সিদ্ধান্তটাকে সঠিক প্রমাণ করতে অশ্বিন খুব বেশি সময় নেননি। ৩০ রান করা ম্যাথিউ ওয়েডকে ফেরান তিনি। পরের সফলতার জন্যেও অশ্বিনকে অপেক্ষা করতে হলো মাত্র এক ওভার। ১৫তম ওভারে রানের খাতা খোলার আগেই সাজঘরে ফেরান স্টিভেন স্মিথকে। ৩৮ রান তুলতেই তিন উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া।

মার্নাস লাবুশেন আর ট্র্যাভিস হেড মিলে অবশ্য শুরুর ধাক্কাটা সামলান ৮৬ রানের জুটিতে। তবে ৩৮ রান করে হেডও বুমরাহর শিকার বনে গেলে আবারও বিপাকে পড়ে অস্ট্রেলিয়া। দলীয় ১৩৪ আর ব্যক্তিগত ৪৮ রানে লাবুশেন উইকেট হারান মোহাম্মদ সিরাজের বলে। ওভার দশেক পর আবারও সিরাজের আঘাত, ক্যামেরন গ্রিন ফেরেন মাত্র ১২ রানে।

১৫৫ আর ১৬৪ রানে অধিনায়ক পেইন ও মিচেল স্টার্ক যথাক্রমে অশ্বিন ও বুমরাহর শিকার হলে অস্ট্রেলিয়ার মাঝারি মাপের সংগ্রহের আশা শেষ হয় সেখানেই। এরপর নাথান লায়নের ২০ রানের ইনিংসে ভর করে অস্ট্রেলিয়া ইনিংস পৌঁছায় ১৯০ এর ঘরে। যদিও শেষে বুমরাহ আর রবীন্দ্র জাদেজার বোলিংয়ে অজিদের প্রথম ইনিংস শেষ হয় ১৯৫ রানেই। এর ফলে টানা দ্বিতীয় ম্যাচে ২০০ রান করতে ব্যর্থ হয় টিম পেইনের দল।

তবে জবাব দিতে নেমে ভারতও পড়ে ব্যাটিং ব্যর্থতার চোখরাঙানীর মুখে। স্টার্কের বলে শুরুতেই উইকেট হারান মায়াঙ্ক আগারওয়াল। শুবমান গিল ও চেতেশ্বর পুজারার কল্যাণে অবশ্য এরপর দিনটা নির্ঝঞ্ঝাটে পার করেছে ভারত।

এনইউ