গুরুদায়িত্বটা উদ্বোধনী জুটির ওপরই/এসএলসি

আগের দিন কোচ রাসেল ডমিঙ্গো জানিয়েছিলেন, উইন্ডিজ থেকে অনুপ্রেরণা নিচ্ছে তার দল। তবে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কা এবার সত্যি সত্যিই উইন্ডিজ হওয়ার চ্যালেঞ্জ দিয়ে বসেছে বাংলাদেশকে। চতুর্থ ইনিংসে জেতার জন্য বাংলাদেশের লক্ষ্য ৪৩৭ রান, যা টপকে গেলে পেছনে ফেলা হবে উইন্ডিজের ৪১৮ রান তাড়ার বিশ্বরেকর্ড সহ আরও একগাদা রেকর্ড!

রোববার সকাল থেকেই মেরে কেটে রান তুলে বাংলাদেশকে বড় লক্ষ্যের চাপে পিষ্ট করতে চেয়েছে লঙ্কানরা। সে লক্ষ্যে কিছুটা হলেও সফল স্বাগতিক দলটি। তবে এতে করে উইকেটও হারিয়েছে নিয়মিত বিরতিতে। ১৭ রানে দিন শুরুর পর মধ্যাহ্ন বিরতির আগে যোগ করেছিল ১৫৫ রান। বাংলাদেশের সম্ভাব্য লক্ষ্যটা তখনই প্রায় লাগাম ছাড়িয়ে যায়। বিরতির পর ২২ রান যোগ করতে নেই তিন উইকেট, এরপরই ইনিংস ঘোষণা করেন প্রতিপক্ষ অধিনায়ক করুনারত্নে।

তাতে বাংলাদেশের সামনে এখন জয়ের লক্ষ্যটা দাঁড়িয়েছে ৪৩৭ রানের। এ রেকর্ড টপকাতে হলে বেশ কিছু রেকর্ড টপকে যেতে হবে বাংলাদেশকে। চতুর্থ ইনিংসে সর্বোচ্চ রান তাড়ার বিশ্বরেকর্ডটাই ৪১৮ রানের। ২০০৩ সালে রামনারেশ সারওয়ান আর শিভনারায়ন চন্দরপলের সেঞ্চুরিতে অস্ট্রেলিয়ার ছুঁড়ে দেওয়া ৪১৮ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করে ফেলে ক্যারিবীয়রা। এর চেয়ে বেশি রানের কীর্তিও আছে, কিন্তু কোনোটাতেই সফল রান তাড়া হয়নি। জিততে হলে সে রেকর্ডটাই ভাঙতে হবে মুমিনুল হকের দলকে। 

রেকর্ডের হাতছানি এখানেই শেষ নয়। চতুর্থ ইনিংসে নিজেদের সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডটা এই লঙ্কানদের বিপক্ষেই। ২০০৮-০৯ সালে মিরপুরে মাহেলা জয়াবর্ধনের ছুঁড়ে দেওয়া ৫২১ রানের চ্যালেঞ্জে বাংলাদেশ করে ফেলেছিল ৪১৩ রান। সেটাই এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের চতুর্থ ইনিংসে সর্বোচ্চ রান হয়ে আছে। এই ইনিংসটা আবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এখন পর্যন্ত চতুর্থ ইনিংসে সর্বোচ্চ রানের কীর্তিও হয়ে আছে।

টাইগারদের সর্বোচ্চ রান সফলভাবে তাড়া করার রেকর্ডটা মাত্র ২১৫ রানের। ২০০৯ সালে গ্রানাডায় তৎকালীন অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের দারুণ ৯৬* রানের ইনিংসে ভর করে উইন্ডিজকে হারায় বাংলাদেশ। জিততে হলে এসব রেকর্ডকে নতুন করে লিখেই জিততে হবে বাংলাদেশকে।

এনইউ/এটি