বাড়ি ফিরতে চাইছেন না সৌরভ!
ফাইল ছবি
সবকিছু ঠিকঠাক। ডাক্তাররাও দিয়ে দিয়েছেন সবুজ সঙ্কেত। বাড়ি ফিরতে বাঁধা ছিল না সৌরভ গাঙ্গুলির। কিন্তু বিসিসিআই সভাপতি নিজেই বাড়ি ফিরতে চাইলেন না। তার অনুরোধেই আরও একদিন হাসপাতালে রাখা হচ্ছে তাকে।
বুধবারই হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার কথা ছিল তার। সব প্রস্তুতিও সারা হয়ে গিয়েছিলো। প্রস্তুত ছিল ডিসচার্জ সার্টিফিকেট, এমনকি হাসপাতাল থেকে বেহালার বাড়ি পর্যন্ত পুলিশি প্রহরার বন্দোবস্ত হয়ে গিয়েছিল। শেষ মূহুর্তে সৌরভ বেঁকে বসলেন নিজেই, জানাচ্ছে স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম।
বিজ্ঞাপন
দক্ষিণ কলকাতার হাসপাতালটির প্রধান কার্যনির্বাহী রূপালি বসু জানান, বুধবার সকাল ১১টায় এ সিদ্ধান্ত হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানান সৌরভ। হাসপাতাল সূত্রের ভাষ্য, বুধবার সকালেও নাস্তা সেরে বাড়ি ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন ভারতের সাবেক এই অধিনায়ক। স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের ধারণা ছিল, বাড়ি ফেরার আগে হাসপাতালের ‘সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় লাউঞ্জে’ একবার সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখিও হবেন তিনি। সেটা আর হয়নি শেষমেশ।
তবে আর সব দিনের মতো এদিনও হাসপাতালের সামনে ছিল ভক্ত-সমর্থকদের উপচে পড়া ভিড়। কমবয়সী এই সমর্থকদের অনেকের হাতেই ছিল ‘ফিরে এসো দাদা’ লেখা প্ল্যাকার্ড। একই দৃশ্য ছিল সৌরভের বেহালার বাড়ির সামনেও। বাড়ির আঙিনা থেকে শুরু করে বেহালা চৌরাস্তা পর্যন্ত ছিল দর্শকদের ভিড়। শেষমেশ তাদেরও হতাশই হতে হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
মেডিক্যাল বোর্ডের সবুজ সঙ্কেত নিয়ে বাড়ি ফিরলেও কড়া নিয়মের মধ্যেই থাকতে হবে তাকে। ইতোমধ্যেই দেশ বিদেশের সর্বমোট ১৫ জন ডাক্তার তাকে পর্যবেক্ষণ করেছেন। শনিবার হাসপাতালে ভর্তির পর তার হৃদযন্ত্রের ধমনীতে তিনটি ব্লক ধরা পড়ে। যেখান থেকে একটি ব্লক অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টির মাধ্যমে সারানো হয়েছে। আগামী সপ্তাহ দুয়েক পরে একই পদ্ধতিতে সারানো হবে বাকি দুটো ব্লকও।
মঙ্গলবার তাকে পর্যবেক্ষণের পর এ সিদ্ধান্ত জানান ভারতের বিখ্যাত হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ দেবী শেঠি। মেডিক্যাল বোর্ডের সঙ্গে আলোচনা শেষে অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। তিনি এক সাক্ষাৎকারে বলেন, তার হৃদযন্ত্র বেশ ভালো অবস্থানে আছে, এমনকি বাড়ি ফিরে চাইলে খেলতে পারবেন ক্রিকেটও। তিনি আরও জানান, ঠিক সময়ে ঠিক চিকিৎসার কারণেই বেঁচেবর্তে ফিরেছেন সৌরভ। যদিও হার্ট অ্যাটাকের সব প্রক্রিয়া শুরুই হয়ে গিয়েছিল তার হৃদযন্ত্রে।
এনইউ/এটি