টেস্টের পর টি-টোয়েন্টিতেও তামিমকে নিয়ে শঙ্কা
তামিম ইকবালের হাঁটুর ব্যথা কমেনি এখনো। শঙ্কা আছে আগামীকাল (৭ জুলাই) শুরু হতে হওয়া একমাত্র টেস্ট ম্যাচে তাকে পাওয়া নিয়ে। তামিমের চোটের বর্তমান যে অবস্থা, তাতে স্বস্তির খবর মিলছে না। জিম্বাবুয়েতে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে গেলেও টেস্টের সঙ্গে টি-টোয়েন্টিও না খেলেই দেশে ফিরতে পারেন তামিম। সুপার লিগের অংশ হওয়ায় ঝুঁকি নিয়ে খেলতে পারেন ওয়ানডে সিরিজ।
গতকাল বাংলাদেশ দলের হেড কোচ রাসেল ডমিঙ্গো টেস্টে তামিমকে পাওয়ার শঙ্কা প্রকাশ করেছেন। আজ (মঙ্গলবার) মিরপুরে প্রায় একই কথা শোনালেন প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু, ‘এটা অবশ্যই একটা চিন্তার বিষয়। কারণ একটা সেরা খেলোয়াড় দলে না থাকলে...। তারপরও আমি মনে করি হয়তো আজ বোঝা যাবে। আজকে অনুশীলন সেশনের পর বোঝা যাবে কোন অবস্থায় আছে। আগাম কিছু বলা যাবে না।’
বিজ্ঞাপন
তামিমের হাঁটুর চোট বেশ পুরোনো। সেখানে নতুন করে ব্যথা পেয়েছেন ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগ খেলতে গিয়ে। সেই ইনজুরি নিয়েই জিম্বাবুয়ে গিয়েছেন তামিম। জিম্বাবুয়েতে শুরুর দুই দিন হালকা অনুশীলন করার পর দুই দিনের একমাত্র প্রস্তুতি ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নামেন। এরপর ব্যথার মাত্রা আরও বেড়ে গেছে। বর্তমান যে অবস্থা তাতে ৮ থেকে ১২ সপ্তাহ বিশ্রাম নিতে হবে তামিমকে।
তামিমের এই চোটের জন্য অপারেশনের প্রয়োজন নেই। বিশ্রামই একমাত্র ওষুধ। তবুও নিজ উদ্যোগে অস্ট্রেলিয়ার বিশেষজ্ঞ শল্যবিদ ডেভিড ইয়াংয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন তামিম। স্ক্যানের কপি পাঠিয়েছেন তাকে। সব দেখে ইয়াং পরামর্শ নিয়েছেন পূর্ণ বিশ্রামের। এমন কি জিম্বাবুয়ে সফরের কোনও ম্যাচে না খেলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে তামিমকে। তবে দলীয় সূত্র থেকে জানা গেছে, ওয়ানডে সুপার লিগের ম্যাচ হওয়ায় অন্তত এই সিরিজটি খেলতে চাইছেন তামিম।
বিজ্ঞাপন
বিসিবির চিকিৎসক দেবাশিস চৌধুরীর জানালেন, ‘তামিমের ইনজুরির এখন যে প্রক্রিয়া সেটি দেখে আমরা তাকে বিশ্রামের জন্য বলেছি। এই ধরনের চোট সেরে উঠতে ঠিক কতদিন লাগতে পারে তা নির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না। আমরা ৮ থেকে ১২ সপ্তাহ ধারণা করছি। এর মধ্যে খেলা বা না খেলার বিষয়টি পুরোটাই তার কাছে। আজ ফিজিওর সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে খেলবে কি না।’
সঙ্গে যোগ করেন দেবাশিষ, ‘তামিমের যে ধরনের ইনজুরি তাতে অপারেশনের প্রয়োজন নেই। পূর্ণ বিশ্রামের প্রয়োজন। এর মধ্যে সে কোনো ম্যাচ বা সিরিজ খেললে ঝুঁকি তো কিছুটা আছেই, এজন্য সে নিজেই সব থেকে ভালো সিদ্ধান্ত নিতে পারবে। সে খেলার জন্য ফিট কি না।’
টিআইএস/এটি