টেস্টের এবাদত আলো ছড়াচ্ছেন ওয়ানডেতে
মাত্র আড়াই বছরে আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার। ২০১৯ সালের শুরুর দিকে বাংলাদেশ দলের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয় পেসার এবাদত হোসেনের। এরই মধ্যে গায়ে টেস্ট বোলারদের তকমা লেগে গেছে। এই ফরম্যাটে ৮ ম্যাচ খেলা এবাদত টাইগারদের রঙিন পোশাকের জার্সি গায়ে চাপাতে পারেননি। সুদূর প্রসারী ভাবনায়ও সেই সম্ভাবনা ক্ষীণ। তবে আসন্ন ওয়ানডে সিরিজের আগে একমাত্র প্রস্তুতি ম্যাচে আলো ছড়াচ্ছেন তিনি।
পেসার রুবেল হোসেন ভিসা জটিলতায় এখনো জিম্বাবুয়ে যেতে পারেননি। করোনাকালীন ক্রিকেট জন্য বিকল্প ভেবে রাখতে হয়েছে বোর্ডের। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টের দলে ছিলেন এবাদত। সেই ম্যাচ শেষ করে শুধুমাত্র টেস্ট দলের সদস্যরা দেশে ফিরে আসলেও আবু জায়েদ রাহীর সঙ্গে জিম্বাবুয়ে থেকে গেছেন তিনি। বলা যায় অনেকটা নেট বোলার ভাবনায়।
বিজ্ঞাপন
রুবেলের অনুপস্থিততে একদিনের প্রস্তুতি ম্যাচে এবাদতের হাতে বল তুলে দেন অধিনায়ক তামিম ইকবাল। দলপতির মান রেখেছেন এবাদত। ইনিংসের ১৩তম ওভারে পরপর দুই বলে প্রতিপক্ষের দুই উইকেট তুলে নেন তিনি। ফেরান সেট ব্যাটসম্যান ডিওন মেয়ার্স (৪৬) ও কামুনহুকামওয়েকে (০)।
টেস্ট বোলার হলেও সম্প্রতি পারফরম্যান্স ভালো যাচ্ছে না এবাদতের। একমাত্র টেস্টে দুই ইনিংসে হাত ঘুরিয়ে ৩২ ওভার বল করে মাত্র ১ উইকেট পান তিনি। তার আগে একমাত্র প্রস্তুতি ম্যাচেও বিবর্ণ ছিলেন এবাদত। টেস্টের ৮ ম্যাচের পরিসংখ্যানও তার পক্ষে কথা বলছে না। ১০ ইনিংসে মাত্র ৮ উইকেট। বোলিং গড় ৯২ প্রায়!
বিজ্ঞাপন
এর আগে একমাত্র প্রস্তুতি ম্যাচে আগে ব্যাট করে স্কোর বোর্ডে ২৯৬ রান জমা করে বাংলাদেশ দল। জিম্বাবুয়ের শুরুটা ভালো করতে দেননি দুই পেসার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ও শরিফুল ইসলাম।
এই প্রতিবেদন লেখার সময় ৫ উইকেট হারিয়ে ২০ ওভার শেষে জিম্বাবুয়ে দলের সংগ্রহ ৯৭ রান। এবাদত ও সাইফউদ্দিন ২টি এবং শরিফুল নিয়েছেন ১ উইকেট।
টিআইএস