ছবি: সংগৃহীত

সংক্ষিপ্ত স্কোর

শ্রীলঙ্কা ১৩৫ (চান্দিমাল ২৮, ম্যাথিউজ ২৭, শানাকা ২৩, পেরেরা ২০; ব্রড ২০-৩, বেস ৩০-৫)

দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে ভরাডুবির পর নিজ দেশে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ঘুরে দাঁড়ানোই লক্ষ্য ছিল শ্রীলঙ্কার, কুশল মেন্ডিসেরও বৈকি! তবে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে গলে সিরিজের প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ১৩৫ রানে অলআউট হওয়ায় সে লক্ষ্য আর পূরণ হয়নি লঙ্কানদের, টানা চার ম্যাচে শূন্য রানে আউট হয়ে কুশল মেন্ডিস করেছেন লজ্জার এক রেকর্ড।

লঙ্কানদের ধ্বসের শুরু লাহিরু থিরিমান্নেকে দিয়ে। দলীয় ১৬ রানে তাকে হারানোর পরপরই কুশলের লজ্জার রেকর্ড হয়ে যায়। এ ইনিংস মিলিয়ে টানা চার ইনিংসে শূন্য রানে আউট হওয়ার ‘কীর্তি’ গড়লেন তিনি। তার দুঃস্বপ্নের শুরুটা হয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা সফর থেকে। সেখানে প্রথম টেস্টে সেঞ্চুরিয়নে প্রথম ইনিংসে ১২ রানে আউট হওয়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসে শূন্য রানে আউট হন তিনি। পরে জোহানেসবার্গের দুই ইনিংসেও রানের খাতা খোলার আগেই আউট হন তিনি।

এরপর গলেও এই ব্যর্থতা অব্যাহত থাকায় তাকে চোখরাঙানী দিচ্ছে রেকর্ডও! তৃতীয় লঙ্কান ব্যাটসম্যান হিসেবে এই ‘কীর্তি’ গড়েছেন তিনি, যদি গলেও শেষ ইনিংসে রানের খাতা না খুলতে পারেন তিনি, তবে লঙ্কানদের হয়ে টানা সর্বোচ্চ ইনিংসে শূন্য রানে ফেরার লজ্জাও পেতে হবে তাকে।

পেরেরা ও থিরিমান্নেকে হারানোর ওভার চারেক পর কুশল পেরেরাও ডমিনিক বেসের শিকার হয়ে সাজঘরে ফিরলে বিপদেই পড়ে স্বাগতিক লঙ্কানরা।

এরপর সাবেক দুই অধিনায়ক দিনেশ চান্দিমাল ও অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউজের কল্যাণে প্রাথমিক ধাক্কা সামলানোর ইঙ্গিত দিচ্ছিল শ্রীলঙ্কা। দুজনের সেই প্রতিরোধ থামে জুটির অর্ধশতক পেরোনোর পরই। ব্যক্তিগত ২৮ রানে জ্যাক লিচের বলে আউট হন তিনি। পরের ওভারে স্টুয়ার্ট ব্রডের শিকার হয়ে ফেরেন মাত্রই চোট কাটিয়ে ফেরা ম্যাথিউজ।

৮১ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর আর মাথা তুলে দাঁড়াতে পারেনি স্বাগতিক শ্রীলঙ্কা। দাসুন শানাকা, হাসরাঙ্গা ডি সিলভাদের চেষ্টা থেমেছে ২০ রানের আশেপাশেই। আর বাকিরা ১০ রান করতেই ব্যর্থ হয়েছেন। ফলে ১৩৫ রানে অলআউট হয়ে নিজেদের প্রথম ইনিংস শেষ করে লঙ্কানরা।

এনইউ/এটি