বাংলাদেশ ক্রিকেট দল/ ছবি:বিসিবি

বুধবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডে দিয়ে দীর্ঘ দশ মাসের বিরতি কাটিয়ে আবারও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট আঙিনায় ফিরবে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। তবে আইসিসি সুপার লিগের সিরিজটির শুরু থেকেই ডিসিশন রিভিউ সিস্টেম (ডিআরএস) নিয়ে জেগেছে শঙ্কা। 

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) মিডিয়া কমিটির প্রধান জালাল ইউনুস এ শঙ্কা প্রকাশ করেছেন। সম্প্রতি ক্রিকবাজকে তিনি জানিয়েছেন, মূলত ইংলিশ ডিআরএস প্রকৌশলীর জন্যে দুই দেশের কোয়ারেন্টিন নীতিমালাই অনিশ্চয়তার চাদরে মুড়ে দিয়েছে প্রথম ওয়ানডেতে ডিআরএসের থাকাকে। তিনি বলেন, ‘ডিআরএস থাকবেই। কিন্তু ডিআরএস প্রকৌশলীকে আসতে হবে লন্ডন থেকে। আপনি জানেন ইংল্যান্ডের কোভিড নীতিমালা বলছে ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনের প্রথম চার দিন অবশ্যই হতে হবে আইসোলেশনে। যার মানে সরকারী আইসোলেশনে তাকে থাকতে হবে চার দিন।’

আমরা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করেছি, করোনা-ভাইরাস পরিস্থিতি দেখাশোনা করা কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও কথা বলেছি, এখন দেখা যাক কী হয়। তবে সময়মতো প্রকৌশলীকে পেয়ে গেলে ২০ জানুয়ারি কোনো সমস্যা  হবে না আমাদের। না হলে ডিআরএস বিষয়ক সমস্যা সমাধান মিলবে প্রথম ম্যাচের পরই।

জালাল ইউনুস, চেয়ারম্যান, মিডিয়া কমিটি, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড

তবে কোচ রাসেল ডমিঙ্গো ডিআরএস চাইলেন প্রথম ওয়ানডে থেকেই, ‘আমি মনে করি প্রথম ম্যাচ থেকেই ডিআরএস থাকবে।’ বিসিবি থেকে ইতোমধ্যেই আম্পায়ার রিচার্ড ইলিংওয়ার্থের কোয়ারেন্টিন থেকে মুক্তির জন্যে আবেদন করা হয়েছে, ধারণা স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের।

তবে শেষ মুহূর্তে ইলিংওয়ার্থকে যদি প্রথম ওয়ানডেতে নাই পাওয়া যায়, সেক্ষেত্রে উপমহাদেশীয় কাউকে আনার চেষ্টা করবে বিসিবি, নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন বিসিবির এক কর্মকর্তা।

তবে অন্য বিদেশী আম্পায়ার রিচার্ড কেটেলবরা যেহেতু শুধু টেস্ট সিরিজের জন্যই আসছেন, সেহেতু এ নিয়ে দুশ্চিন্তায় নেই বিসিবি। বিসিবির সে কর্মকর্তার ভাষ্য, ‘একজন বিদেশী আম্পায়ার টেস্ট সিরিজের জন্যে আসছে। তারা আসবেন আর তার কোয়ারেন্টিন এড়ানোর জন্যে আমরা আবেদন করেছি। কিন্তু যেহেতু এটা টেস্ট সিরিজ, সেহেতু আমাদের হাতে আরও সময় আছে।’

এনইউ