সেই যে ১৯৯৮ সালে পাকিস্তানে এসে খেলে গেছে অস্ট্রেলিয়া, এরপর আর কোনো সিরিজ খেলতে দেশটিতে পা রাখেনি। দীর্ঘ ২৩ বছর পর পাকিস্তান সফরের কথা ছিল অজিদের। আইসিসির সূচিই করে দিয়েছিল সেই সুযোগ। কিন্তু সেই সফর নিয়ে এবার দোটানায় ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। 

নিউজিল্যান্ড দুই দিন আগেই সিরিজ শুরুর ঠিক আগে নিরাপত্তাজনিত কারণে সিদ্ধান্ত বদলে দেশে ফিরে গেছে। তাতে পাকিস্তানের নিরাপত্তা নিয়ে বাকি দলগুলোও সন্দেহ প্রকাশ করছে এখন। অস্ট্রেলিয়াও সেই মিছিলে নাম লেখালো এবার। 

অজি ক্রিকেট বোর্ডের এক কর্মকর্তা বলেছেন, ‘আমরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি,আমাদের পর্যবেক্ষক দল রয়েছে তাদের রিপোর্টের উপরই আমরা সিদ্ধান্ত নেব’। আগামী বছরের ফেব্রুয়ারী মার্চ এর দিকে পাকিস্তান সফরে যাওয়ার কথা আছে ওয়ারনার-ফিঞ্চদের।  

নিউজিল্যান্ড আকস্মিকভাবে নিরাপত্তাজনিত কারণে গতকাল তাদের প্রথম ওয়ানডের কিছুক্ষণ পূর্বে তাদের সফর বাতিল করে। যা নিয়ে অনেক সমালোচনার তৈরি হয়। ইংল্যান্ড আগামী মাসে পাকিস্তান সফর করার কথা ছিল। তা নিয়েও তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা।

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এ বিষয়ে যোগাযোগ করেছিলেন নিউজিল্যান্ডের সরকার প্রধানের সঙ্গে। কিন্তু এরপরও কিউইরা পাকিস্তান সফর সম্পন্ন করতে রাজি হয়নি। ২০০৯ সালের পর পাকিস্তান আরব আমিরাতে নিজেদের হোম ম্যাচ খেলে আসছিলো। কিন্তু কয়েক বছর ধরে পাকিস্তানের মাটিতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ছোঁয়া লেগেছে।

গত বছর ধরে পর্যায়ক্রমে জিম্বাবুয়ে, শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ ও দক্ষিণ আফ্রিকা খেলেছে পাকিস্তানে। সেই সাথে পিএসএলের মতো লিগে এসে খেলে গিয়েছেন বিদেশি তারকারা। 

কিউইদের এমন কাণ্ডে হতবাক হয়েছেন পাকিস্তান সহ ক্রিকেট বিশ্বের অনেক তারকা ক্রিকেটার। টুইটার সহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তারা।

পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডে কেবলই নতুন চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নিয়েছেন রমিজ রাজা। ক্রিকেট নিউজিল্যান্ডের এমন সিদ্ধান্তে রমিজ বলেছেন নিউজিল্যান্ডকে আইসিসির কাঠগড়ায় নেওয়া হবে।

চেয়ারম্যান হিসেবে প্রথম সিরিজের দায়িত্বই যেনো শুরু হয়েও যেনো শেষ হয়ে গেলো পিসিবি প্রধানের। এবার ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়াও যদি পাকিস্তান হতে মুখ ফিরিয়ে নেয় ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে পাকিস্তান ক্রিকেটকে।

এমএফ/এনইউ