ছবি : সংগৃহীত

করোনার সংক্রমণ দমাতে ভ্যাকসিনের দিকে ঝুঁকছে দেশগুলো। এরই মধ্যে বিশ্বজুড়ে  ভ্যাকসিন নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে। সব ঠিক থাকলে আগামী ২১ জানুয়ারি ভারত থেকে ৩৫ লাখ ভ্যাকসিন পাবে বাংলাদেশ। এই তালিকায় থাকবেন বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটাররা? সেটি এখনো নিশ্চিত করতে না পারলেও ফেব্রুয়ারি মাসে সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবালদের ভ্যাক্সিন দেওয়া হবে বলে জানান নাজমুল হাসান পাপন।

ভারত থেকে ভ্যাকসিন কিনছে বাংলাদেশ সরকার। এই ভ্যাকসিন অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পাবেন দেশের ক্রীড়াঙ্গনের খেলোয়াড়রা। ভারত থেকে আসা ভ্যাকসিন ৩৫ লাখ ডোজ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশে আসবে। এই ৩৫ লাখের তালিকায় বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের খেলোয়াড়ররা থাকবেন কিনা সেটি নিশ্চিত নন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সভাপতি। তবে তারা চাইছে, নিজ উদ্যোগে  ভ্যাকসিন এনে ক্রিকেটারদের শরীরে প্রয়োগ করতে। 

বুধবার মিরপুরে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে পাপন বলেন, ‘কালকে (বৃহস্পতিবার) ৩৫ লাখ আসছে (ভ্যাকসিন) বলে আমার জানা নেই। ভারত সরকারের কাছ থেকে ২০ লাখ আসবে। আর সেটা হচ্ছে ভারত সরকারের অনুদান। আর যেটা সরকার কিনছে, সেটা ৫০ লাখ আমার জানামতে। ২৫ তারিখে ৫০ লাখ আসবে।’

বিসিবি সভাপতির মতে, এই ভ্যাকসিন না পাওয়া গেলেও ফেব্রুয়ারির মধ্যে ভ্যাকসিন পাবেন ক্রিকেটাররা। তিনি বলেন, ‘আমরা জানি সরকারের যে ৫০ লাখ, ওখান থেকে তো আছে। সাথে প্রাইভেট আমরা আনবো। প্রাইভেটটা আমাদের আসবে ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি। তখন আমাদের প্রথম অগ্রাধিকার অবশ্যই ক্রিকেট। ক্রিকেটার যারা আছে তারা আমদের প্রথম অগ্রাধিকার।’

ভ্যাকসিন হাতে পেলে স্থগিত থাকা ঘরোয়া ক্রিকেট এপ্রিলে ফেরানোর পরিকল্পনা আছে বলে জানান পাপন। এদিকে ফুটবলে নিয়মিত লিগ চললেও ক্রিকেট কেন সেই পথে হাঁটছে না এদিন তারও ব্যাখ্যা দেন বিসিবি সভাপতি।

পাপন বলেন, ‘এপ্রিলে শুরু করতে পারা উচিৎ। কেন বলছি, কারণ আমরা যদি ক্রিকেট প্লেয়ারদের ভ্যাকসিনেট করে দিতে পারি, তাহলে আমাদের জন্য এটা অনেক সহজ হবে। তা না হলে বায়ো বাবল করে ক্রিকেট খেলানো খুবই ব্যয়বহুল। ইতোমধ্যে আমরা যা দেখছি প্রায় ৮-৯ গুণ বেশি খরচ হচ্ছে।’

ফুটবলের সঙ্গে পার্থক্য তুলে ধরেন পাপন, ‘ফুটবলে ওদের মনে হয় অন্য কোন সিস্টেম আছে। কিন্তু আমরা মনে করি আমাদের জন্য আন্তর্জাতিক যে মানদণ্ড আছে, সেটা মেইন্টেইন করা সম্ভব না এভাবে। ক্লাবগুলো কিভাবে রাখবে প্লেয়ারদের? আমি যদি সব ক্লাবকে বলি সব প্লেয়ারকে হোটেলে রাখতে হবে এবং ঐ হোটেলে কেউ যেতে পারবেনা, কর্মচারীরা বের হতে পারবে না, ওরা কেউ যেতে পারবে না, এটা আমাদের পক্ষে সম্ভব না। যেটা আমাদের পক্ষে সম্ভব না, সেটা নিয়ে কথা বলে লাভ নাই।’

টিআইএস/এমএইচ