দলের স্বার্থে পছন্দের জায়গা ছেড়েছেন সাকিব
ছবি : সংগৃহীত
বাংলাদেশ ক্রিকেটে যেন আলোচনার পুরোটা জুড়ে থাকেন সাকিব আল হাসান। নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ করে দীর্ঘদিন পর জাতীয় দলে ফিরেছেন টাইগার অলরাউন্ডার। মাঠে ফিরেই অসাধারণ পারফরম্যান্সে বাগিয়েছেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার। সেটি নিয়ে যেমন আলোচনায় সাকিব, তেমন ব্যাটিং অর্ডারে তার প্রিয় তিন নম্বর জায়গা ছাড়া নিয়েও আলোচনা হচ্ছে বেশ।
বাংলাদেশ ক্রিকেট ইতিহাসে তিন নম্বর ব্যাটিং পজিশনে সলিড ব্যাটসম্যানের আক্ষেপ ছিল দীর্ঘদিনের। এই জায়গায় কেউই নিজেকে মেলে ধরতে পারছিলেন না। অনেক পরীক্ষানিরীক্ষার পরও সফলতা মিলছিল না। ২০১৯ ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে অনেকটা জোর করেই এখানে ব্যাট হাতে নামেন সাকিব। তাতে সফল তিনি। ইংল্যান্ডের মাটিতে রীতিমতো ব্যাট হাতে রাজত্ব করেন সাকিব।
বিজ্ঞাপন
সেখানে ৮ ম্যাচে ৮৭ এর মতো গড়ে ৬০৬ রান আসে সাকিবের ব্যাট থেকে। যেখানে ২টি শতকের সঙ্গে অর্ধশতক হাঁকান ৫টি। তিন নম্বরে নেমে এখন পর্যন্ত ২৩ ম্যাচে প্রায় ৫৯ এর মতো গড়ে ১১৭৭ রান করেছেন সাকিব। ১১টি অর্ধশতকের সঙ্গে সেঞ্চুরি আছে
দুইটি। তবুও ঘরের মাঠে উইন্ডিজের বিপক্ষে তিন নম্বরে ব্যাট হাতে দেখা যাবে না সাকিবকে। এটি আগেই নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ দলের হেড কোচ রাসেল ডমিঙ্গো ও অধিনায়ক তামিম ইকবাল।
মূলত ২০২৩ বিশ্বকাপ ভাবনায় তরুণ ব্যাটসম্যান নাজমুল হোসেন শান্তকে সুযোগ দিতেই এমন সিদ্ধান্ত টিম ম্যানেজমেন্টের। যেখানে ২০২৩ বিশ্বকাপ ভাবনায় ভালোভাবে আছেন সাকিব, সেখানে কেন এমন সিদ্ধান্ত? সেটি অবশ্য পরিষ্কার করেননি কেউই। বুধবার মিরপুরে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হওয়া বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনও জুতসই কোনো ব্যাখ্যা দিতে পারলেন না।
বিজ্ঞাপন
‘এটা আমার পক্ষে বলা খুব কঠিন। সাকিবের তিন নম্বর পজিশন পারফরম্যান্সের কারণে আসেনি বলে আমার মনে হয় না। ঠিক কোন কারণে, কোচ এবং ক্যাপ্টেন ওরা ভালো বলতে পারবে। শুধু পারফরম্যান্সের কারণে ওর পজিশন পরিবর্তন হয়েছে, এটা আমি বিশ্বাস করি না। শুধু তার তো না, মুশফিকের মতো ডিপেন্টেবল ব্যাটসম্যানতো আমাদের চার নম্বরে নেই। ওকেও তো পরিবর্তন করেছে।’
পাপন বলেন
যাকে সরানো নিয়ে এমন আলোচনা, সেই সাকিব অবশ্য বলছেন দলীয় স্বার্থে পছন্দের জায়গা থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন তিনি। কিছুটা আক্ষেপ থাকলেও সেটি সামনে আনলেন না বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।
বুধবার ম্যাচ শেষে এক ভিডিও বার্তায় সাকিব বলেন, ‘দেখুন, কোচ, অধিনায়ক, টিম ম্যানেজমেন্ট একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেটা খেলোয়াড় হিসেবে আমাকে সম্মান করতে হবে। আমি রাজি থাকি বা না থাকি সেটি বড় কথা না। সব সময় আমি টিমের হয়ে খেলার চেষ্টা করি। আমার কাছে ব্যক্তিগত অর্জনের থেকে দলগত অর্জন সব সময়ই বড় মনে হয়। এটা বড় কোনো পার্থক্য করবে না মনে হয়।’
টিআইএস/এমএইচ