ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশ পেস বোলিং বিভাগে বেশ সম্ভাবনাময় ক্রিকেটার হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে হাসান মাহমুদকে। গত মার্চ মাসে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি অভিষেকের পর সম্প্রতি ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে অভিষেক। টেস্টের ভাবনাতেও বেশ ভালোভাবে আছেন এই ডানহাতি পেসার। বাংলাদেশ জাতীয় দলের হয়ে খেলতে পেরে উচ্ছ্বসিত হাসান মাহমুদ।

করোনা প্রাদুর্ভাবের আগে অর্থাৎ গত বছরের ১১ মার্চ বাংলাদেশের জার্সিতে প্রথম সুযোগ পান হাসান মাহমুদ। কুঁড়ি ওভারের ফরম্যাটে খুব বেশি সুবিধা করতে পারেননি তিনি। এর আগে অবশ্য পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজে স্কোয়াডে ডাক পেলেও মাঠে নামার সুযোগ হয়নি ২১ বছর বয়সী এই পেসারের। টি-টোয়েন্টি পর ঘরের মাঠে উইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে ফরম্যাটের ক্যাপ মাথায় তোলেন হাসান মাহমুদ। বাংলাদেশ দলের হয়ে খেলতে পেরে বেশ উচ্ছ্বসিত এই তরুণ পেসার। 

রোববার এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, ‘এটা আসলে বলার মত কোন ভাষা নাই। এটা একটা স্বপ্ন ছিল, ছোট বেলা থেকেই ক্রিকেট খেলার ইচ্ছে ছিল। বলব যে আল্লাহ তায়ালার একটা উপহার যে, জাতীয় দলে আসতে পেরেছি।’

ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে অভিষেক ম্যাচে ৩ উইকেট নেন হাসান মাহমুদ। তবে নিজের দ্বিতীয় ম্যাচে ১ উইকেট পেলেও খরচ করেছেন ৫৪ রান। প্রথম ম্যাচ নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করলেও পরের ম্যাচের পারফরম্যান্সে নিজের উপরেই খানিক হতাশ লক্ষ্মীপুরের এই ক্রিকেটার।

হাসান মাহমুদ বললেন, ‘যা হয়েছে আলহামদুলিল্লাহ। যদিও অভিষেক ম্যাচটা ম্যাটার করে, তারপরও আলহামদুলিল্লাহ ভালো হয়েছে। ভালো শুরু হয়েছে।

তিনি আরও যোগ করেন, ‘চেষ্টা করেছি (দ্বিতীয় ম্যাচেও) প্রথম ম্যাচের মতই পারফর্ম করার। কিন্তু হয়নি, অসুবিধা নাই। ইনশ আল্লাহ পরেরবার হবে।’

শুধু আন্তর্জাতিক ক্রিকেট নিয়েই পড়ে থাকতে চান না হাসান মাহমুদ, মনোযোগ ধরে রাখতে চান ঘরোয়া ক্রিকেটেও। একই সাথে যে ফরম্যাটেই হোক, লাইন-লেংথ আর গতির সঙ্গে আপস করতে চান না তিনি।

হাসান বলেন, ‘আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলতে হলে অবশ্যই এরকম মানসিক শক্তি দরকার, যে রকম লাগবে আরকি। তো অবশ্যই চেষ্টা থাকবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট হোক ঘরোয়া ক্রিকেট হোক, লাইন-লেংথের সাথে কম্প্রমাইজ করা যাবেনা। সাথে পেস। সবে মিলে চেষ্টা করবো।’

টিআইএস/এমএইচ