১২ হাজার কোটি টাকা দেনার দায় মেসিদের!
ছবি: সংগৃহীত
অর্থনৈতিকভাবে বার্সেলোনা টালমাটাল অবস্থায় আছে, ব্যাপারটা শোনা যাচ্ছিল বেশ কিছুদিন ধরেই। কিন্তু সংখ্যাটা কত তা নিয়ে ছিল বেশ জল্পনা-কল্পনা। সম্প্রতি ক্লাবের বার্ষিক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে সে সংখ্যা। দেখা গেছে, প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকা দেনার দায়ে ভুগছে মেসিদের ক্লাব, যার সাড়ে সাত হাজার কোটি শোধ করতে হবে অতিসত্বর!
আগামী মাসের মধ্যেই সাড়ে সাত হাজার কোটি টাকা পরিশোধ করতে হবে ক্লাবটিকে। তবে অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতি কার্লোস টুস্কেটসের অধীনে থাকা ক্লাব কর্তৃপক্ষ সময়সীমাটা বাড়ানোর জন্যে পাওনাদারদের সঙ্গে দরকষাকষিতে নামবে শিগগিরই। তাতেও অবশ্য খুব একটা সময় বাড়বে না কাতালান ক্লাবটির। বার্সেলোনার আশা, অন্তত ৩০ জুন পর্যন্ত সময়সীমাটা বাড়বে তাদের জন্য।
বিজ্ঞাপন
বার্সেলোনার এই দুর্দশার জন্যে দায়ী বিদায়ী হোসে মারিয়া বার্তোমেওর অধীনে থাকা বোর্ডের অব্যবস্থাপনা। এ বোর্ডের অধীনে খেলোয়াড়দের বেতন বেড়েছে লাফিয়ে লাফিয়ে। দুর্মূল্যের বাজারে খেলোয়াড় কেনায় প্রয়োজনীয় দূরদর্শিতার অভাবে বাড়তি অর্থ গুণতে হয়েছে তাদের। তার উপর বিভিন্ন সময়ে খেলোয়াড়দের চুক্তিতে অব্যবস্থাপনার জন্যে প্রচুর অর্থ গচ্চা দিতে হয়েছে কাতালানদের।
তবে সবকিছুর উর্ধ্বে করোনা মহামারী সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করেছে ক্লাবটির। মহামারীকালে স্টেডিয়াম হয়ে গেছে ফাঁকা, লকডাউনের কারণে ক্লাবের দর্শনার্থী নেই, কমেছে পৃষ্ঠপোষকদের সহায়তাও। সব মিলিয়ে শেষ এক বছরেই বড় দেনার দায়ে ডুবেছে বার্সা।
বিজ্ঞাপন
আসছে ফেব্রুয়ারি থেকে ২৫ শতাংশ দর্শক মাঠে আসার সম্ভাবনা ছিল, সে হারটা আসছে জুলাইয়ে বেড়ে হতো ৫০ শতাংশ। সেটা হয়ে গেলে ক্লাবের জাদুঘরে, অফিসিয়াল স্টোরে দর্শনার্থী-ক্রেতাদের সংখ্যা বাড়ত, তাতে ক্লাবের কোষাগারও স্ফীত হতো কিছুটা। তবে স্পেনে নতুন করে করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধির কারণে কঠোর লকডাউন সে সম্ভাবনাতেও পানি ঢেলে দিয়েছে। কাতালান ক্লাবটির জন্যে তাই ভবিষ্যত অপেক্ষা করছে একগাদা চ্যালেঞ্জ নিয়েই।
এনইউ/এটি