ক্যারিবীয় আরও এক ব্যাটসম্যান সাজঘরমুখো, সতীর্থদের সঙ্গে উদযাপনে রিশাদ/ছবি: বিসিবি

সংক্ষিপ্ত স্কোর
উইন্ডিজ ৫৬ ওভারে ১৮৬/৬ (ব্র্যাথওয়েট ৭২, ক্যাম্পবেল ৪৪, মোসেলে ১৫, জশুয়া ২০, মেয়ার্স ২০; খালেদ ৩৯/২, রিশাদ ৪৫/২, শাহাদাত ২৯/১, সাইফ ১৫/১)

ওয়ানডে সিরিজে উইন্ডিজের ভোগান্তির প্রধান কারণ ছিল ব্যাটিং। টেস্ট সিরিজ শুরুর আগেও উইন্ডিজ অশনি সঙ্কেতই পাচ্ছে। তিন দিনের প্রস্তুতি ম্যাচে বিসিবি একাদশের বিপক্ষে খালেদ আহমেদ ও রিশাদ হোসেনের তোপের মুখে পড়েছেন ক্যারিবীয়রা। প্রথম দিনে চা বিরতির আগেই সাজঘরমুখো হয়েছেন ছয় ব্যাটসম্যান।

চট্টগ্রামের এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে শুরুটা বেশ সন্তোষজনক ছিল উইন্ডিজের। ওপেনার, অধিনায়ক ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট সঙ্গী জন ক্যাম্পবেলকে সঙ্গে নিয়ে তুলে ফেলেছিলেন ৬৯ রান। শাহাদাত হোসেনের বলে তৌহিদ হৃদয়ের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হওয়ার আগে ক্যাম্পবেল তুলে নিয়েছিলেন ৪৪ রান। প্রথম সেশন শেষের আগে একটি মাত্র উইকেট হারিয়ে উইন্ডিজ তুলে নিয়েছিল ৮৯ রান।

বিরতির পরই শেন মোসেলিকে হারায় উইন্ডিজ। লেগ-স্পিনার রিশাদ হোসেনের বলে বোল্ড হয়ে উইকেট হারান মোসেলি। এর তিন ওভার পর খালেদ আহমেদের শিকার হয়ে ব্যক্তিগত দুই রানে ফেরেন এনক্রুমাহ বোনার। ওভার দুয়েক পর ক্যারিবীয় ব্যাটিং লাইনআপে আঘাত হানেন রিশাদ, এবার তার শিকার নিউজিল্যান্ড সিরিজে দারুণ খেলা জার্মেইন ব্ল্যাকউড। অপর পাশ থেকে খালেদ আহমেদও হাত গুটিয়ে ছিলেন না। কাভেম হজকে রিশাদের তালুবন্দি করে ক্যারিবীয়দের ঘোর বিপদে ফেলেন তিনি।

অপর পাশ থেকে সতীর্থদের আসা-যাওয়ার মিছিল দেখা অধিনায়ক ব্র্যাথওয়েট ততক্ষণে তুলে নিয়েছেন ইনিংসের একমাত্র অর্ধশতকটি। হজের বিদায়ের পর উইকেটরক্ষক জশুয়াকে নিয়ে ক্ষণিকের প্রতিরোধও গড়েছিলেন। তবে তাদের প্রতিরোধ টেকে মাত্র ১০ ওভার, ব্যক্তিগত ২০ রানে সাইফের শিকার হয়ে ফেরেন জশুয়া। চা-বিরতির আগ পর্যন্ত অবশ্য আর উইকেট হারায়নি সফরকারীরা। সেশন শেষ করেছে ১৮৬ রানে।

বিসিবি একাদশ 

নুরুল হাসান (অধিনায়ক ও উইকেটরক্ষক), আকবর আলী, মোহাম্মদ নাইম, মুকিদুল ইসলাম, সাইফ হাসান, সাদমান ইসলাম, শাহাদাত হোসাইন, শাহিন আলম, খালেদ আহমেদ, তৌহিদ হৃদয়, ইয়াসির আলী। 

উইন্ডিজ একাদশ

ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট (অধিনায়ক), জন ক্যাম্পবেল, শেন মোসেলে, জোমেল ওয়ারিকান, আলজারি জোসেফ, জার্মেইন ব্ল্যাকউড, জশুয়া দা সিলভা (উইকেটরক্ষক), কাভেম হজ, কেমার রোচ, কেওন হার্ডিং, কাইল মেয়ার্স, এনক্রুমাহ বোনার।

এনইউ/এটি