ভালো ছাত্র হতে চান মেয়ার্স
ছবি : ইএসপিএন ক্রিকইনফো
চট্টগ্রাম টেস্টে কাইল মেয়ার্স যা করেছেন, তা তো তার স্মৃতির পাতায় জমা থাকবে সারাজীবন। কেবল তার কেন, ক্রিকেট ইতিহাসেই তো এমন কীর্তি বিরল। নিজের অভিষেক টেস্টের এক ইনিংসে অসংখ্য রেকর্ড গড়েছেন এই ক্যারিবীয়ান ব্যাটসম্যান।
২৮ বছর বয়সেও মেয়ার্সের প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ম্যাচ সংখ্যা ছিল মাত্র ৩২টি। যার মধ্যে সেঞ্চুরি ছিল কেবল দুইটিতে। উইন্ডিজদের মূল দলের ক্রিকেটাররা এই সফর থেকে নিজেদের প্রত্যাহার না করলে হয়তো থাকতেন না স্কোয়াডেও।
বিজ্ঞাপন
সেই মায়ার্স ক্রিকেটের অভিজাত সংস্করণের অভিষেকে হাঁকিয়েছেন ডাবল সেঞ্চুরি। ম্যাচশেষে নিজের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে বলেছেন খেলাটির ভালো ছাত্র হওয়ার লক্ষ্যের কথা।
তিনি বলেন, ‘উন্নতি করতে থাকা ও খেলাটির ভালো একজন ছাত্র হওয়াই আমার লক্ষ্য। এই ইনিংস থেকে ইতিবাচক বিষয়গুলো পরের টেস্টে নিয়ে যেতে চাই।’
বিজ্ঞাপন
অভিষেক টেস্টে ডাবল সেঞ্চুরি করে দলকে ম্যাচ জেতানো যেকোনো ব্যাটসম্যানের জন্যই স্পেশাল হওয়ার কথা। কাইল মেয়ার্সের ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম কিছু না। এর আগে কখনো এতক্ষণ ক্রিজে থাকার কীর্তিও নেই বলে জানিয়েছেন মেয়ার্স।
তিনি বলেন, ‘আমার কাছে এটি খুবই স্পেশাল। আমার সর্বোচ্চ স্কোর। এবং আমার প্রথম টেস্টে। তাই এটি আমার জন্য খুবই স্পেশাল। আসলে আমার ঘরোয়াতে বেশ কয়েকটি সেঞ্চুরি আছে। কিন্তু এটা আমার কাছে খুবই স্পেশাল। এটি আমার সর্বোচ্চ স্কোর। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে আমি এবারই এতক্ষণ ব্যাট করলাম। সুতরাং এটি আমার কাছে অনেক স্পেশাল যে আমি আমার প্রথম টেস্টেই ডাবল পেয়েছি।’
ডাবল সেঞ্চুরির কথা কি নিজেও ভেবেছিলেন মেয়ার্স? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সত্যি বলতে, ব্যক্তিগতভাবে সেঞ্চুরির চিন্তা করেছিলাম। কিন্তু আমি জানতাম যে দলের জন্য আমার আরও বেশি করা প্রয়োজন ছিল। ব্যাটিং করার সময় ১৫০ করার চিন্তা করছিলাম। দিনের শুরুতে আমি ভেবেছিলাম যদি আমি ১৫০ বা ১৬০ করি তাহলে দল জয়ের জন্য ভালো অবস্থানে থাকবে। কিন্তু ১৬০ ছোঁয়ার পর আমি বুঝতে পারলাম যে আমাকে আরও দূর যেতে হবে।’
এমএইচ