দুই বার এগিয়ে গিয়ে বেশ আয়েশি ভঙ্গিতে ছিলেন পুলিশের এফসির শ্রীলঙ্কান কোচ পাকির আলী। কিন্তু দু’বারই গোল হজম করে সমতায় ফেরার পর যেন উত্তেজিত হয়ে পড়েন তিনি। বার বার ফুটবলারদের নির্দেশনা দিচ্ছিলেন। শিষ্যরা ভুল করলে চিৎকারও করছিলেন ডাগ আউট থেকে। তাতেও কাজ হয়নি। শেষ পর্যন্ত শেখ জামালের সঙ্গে ২-২ গোলে হতাশার ড্র নিয়েই মাঠ ছাড়ে পুলিশ।

ম্যাচের শুরু থেকেই শেখ জামালকে চাপে রেখে খেলতে থাকে পুলিশ। যার ফল তারা পেয়ে যায় ১০ মিনিটেই। সতীর্থের কাছ থেকে বল পেয়ে বক্সের মধ্যে অরক্ষিত থাকা মোহাম্মদ স্বাধীন ঠান্ডা মাথায় গোল করে পুলিশকে এগিয়ে দেন। 

দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই গোল শোধে মরিয়া হয়ে খেলতে থাকে শেখ জামাল। ৫১ মিনিটে গাম্বিয়ার ফরোয়ার্ড সলোমন কিংয়ের পাস থেকে বল নিয়ে গোলে পরিণত করেন আরেক গাম্বিয়ান ওমর জোবেক। 

৭৭ মিনিটে বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে নিজেদের জালেই জড়িয়ে দেন শেখ জামালের ডিফেন্ডার আরিফুল ইসলাম। আবারও এগিয়ে যায় পুলিশ। কিন্তু মিনিট খানেক পরে শেখ জামালের সলোমন কিং গোল করলে ফের সমতায় ফেরে ম্যাচ।

এই ড্রয়ে ‘এ’-গ্রুপে দুই দলের এক পয়েন্ট করে জমা হলো। পুলিশের সঙ্গে প্রথম ম্যাচে জিতে গ্রুপে এগিয়ে রয়েছে শেখ রাসেল। শেষ আটের টিকিট নিশ্চিত করতে হলে শেষ ম্যাচে শেখ রাসেলের সঙ্গে ড্র করলেই চলবে শেখ জামালের।

এজেড/ এমএইচ