করোনা শঙ্কা কাটিয়ে উত্তাল বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের গ্যালারি
ছবি : ঢাকা পোস্ট/ আরাফাত জোবায়ের
ঘরোয়া ফুটবলের আগের সেই রমরমা অবস্থা নেই। এরপরও গত কয়েক বছর ফেডারেশন কাপের ফাইনালে হাজার দশেক দর্শক উপস্থিত থাকতেন। এবার করোনার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয় ও বাফুফের দর্শকদের প্রবেশাধিকার সীমিত করেছে। এরপরও ফাইনাল ম্যাচে কয়েক হাজার দর্শকের উপস্থিতি রয়েছে। যেটা করোনা সময়ের মধ্যে বেশ উল্লেখযোগ্যই।
দেশের ফুটবলে পেশাদারিত্ব আনার চেষ্টা করছে বসুন্ধরা কিংস ও সাইফ স্পোর্টিং। সাইফ ফাইনালে আবাহনী গ্যালারিকে নিজেদের হিসেবে বেছে নিয়েছে অন্য দিকে তাদের প্রতিপক্ষ বসুন্ধরা পশ্চিম পাশের আরেক গ্যালারী মোহামেডানকে পছন্দ করেছে। বসুন্ধরা কিংসের সভাপতি ইমরুল হাসান নিজেও মোহামেডানের পাড় সমর্থক।
বিজ্ঞাপন
দুই গ্যালারিতেই সমর্থকরা নিজ নিজ ক্লাবের জার্সি ও মাফলার পরে এসেছেন। দুই ক্লাবের পতাকা উড়ানোর পাশাপাশি বাদ্য-বাজনা বাজিয়ে পুরোপুরি ফাইনালের আবহ তৈরি করেছেন সমর্থকরা।
কর্পোরেট দুই দলের ফাইনাল শিক্ষিত তরুণ-শ্রেণীকে ভালোই আকৃষ্ট করেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী আহমেদুল হাসান বলেন,‘আমরা ফুটবল ভালোবাসি। ইউরোপীয়ান ফুটবলের পাশাপাশি দেশি ফুটবলেরও খোঁজ রাখি। বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ, স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করেই খেলা দেখতে এসেছি। ’ আহমেদুলের মতো আরো অনেকেই শনিবার ফেডারেশন কাপের ফাইনাল ম্যাচ দেখতে এসেছেন।
বিজ্ঞাপন
বসুন্ধরা কিংস ও সাইফ স্পোর্টিং দুই দলই ঘণ্টা দুই আগে স্টেডিয়ামে এসেছে। সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব সেমিফাইনালের আগের দিন থেকে স্টেডিয়াম সংলগ্ন হোটেলে থাকছে জ্যাম এড়াতে। বসুন্ধরা কিংস অবশ্য তাদের বসুন্ধরা ক্যাম্প থেকেই এসেছে।
বসুন্ধরা কিংস: আনিসুর রহমান জিকো (গোলরক্ষক), তপু বর্মণ, মাসুক মিয়া জনি, জোনাথন ফার্নান্দেস, রাউল অস্কার, রবসন আজেবেদু, বিশ্বনাথ ঘোষ, ইব্রাহিম, মতিন মিয়া, খালেদ শাফি, রিমন হোসেন।
সাইফ স্পোর্টিং : পাপ্পু হোসেন ( গোলরক্ষক ), ইয়াসিন আরাফাত, রহমত মিয়া, সিরাজউদ্দিন রহমতুল্লায়েভ, রিয়াদুল হাসান রাফি, জন ওকোলি, শাহেদুল আলম শাহেদ, ইমানুয়েল, ফয়সাল আহমেদ ফাহিম, মোহাম্মদ আরিফুর রহমান, কেনেত।
রেফারি: জালাল উদ্দিন।
এজেড/এটি