ছবি: সংগৃহীত

চীনের দুঃখ যদি হয় হোয়াংহো নদী সেখানে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের দুঃখ অ্যাথলেটিক্স টার্ফ। মেয়াদোত্তীর্ণ ও ছেড়া অ্যাথলেটিক্স টার্ফেই হতে যাচ্ছে জাতীয় অ্যাথলেটিক্স প্রতিযোগিতা।

আগামী ১৫ থেকে ১৭ জানুয়ারি তিনদিনব্যাপী প্রতিযোগিতায় কয়েকশ’ প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করবেন বিভিন্ন ইভেন্টে। 

আমাদের টার্ফের সংকট রয়েছে। আর্মি স্টেডিয়ামে করা যেত। কিন্তু সেখানে অনেক নিয়ম কানুন ও বাধ্যবাধকতা। পাশাপাশি খরচও রয়েছে। ঢাকার বাইরের জেলাগুলোতে সেই মানের টার্ফ নেই। ফলে বাধ্য হয়েই এই ট্র্যাকেই আয়োজন করতে হচ্ছে

আব্দুর রকিব মন্টু, সাধারণ সম্পাদক, অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশন

অ্যাথলেটিক্সের এই টার্ফে অনুশীলন করাই যেখানে কষ্টসাধ্য সেখানে জাতীয় প্রতিযোগিতা আয়োজন অনেকটা দুঃসাধ্যই। সেই দুঃসাধ্য সাধনের সিদ্ধান্ত নেয়ার কারণ জানালেন অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুর রকিব মন্টু, ‘আমাদের টার্ফের সংকট রয়েছে। আর্মি স্টেডিয়ামে করা যেত। কিন্তু সেখানে অনেক নিয়ম কানুন ও বাধ্যবাধকতা। পাশাপাশি খরচও রয়েছে। ঢাকার বাইরের জেলাগুলোতে সেই মানের টার্ফ নেই। ফলে বাধ্য হয়েই এই ট্র্যাকেই আয়োজন করতে হচ্ছে। ’

জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম সংস্কার করছে। সেই সংস্কারে অ্যাথলেটিক্স ট্র্যাকও রয়েছে। সেই ট্র্যাকের ইতোমধ্যে টেন্ডার কাজ সম্পন্ন। কার্যসম্পাদন পত্র এখনো হয়নি। এই ব্যাপারে ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘ফুটবল লীগ শুরু হচ্ছে। ফুটবল লীগ শেষ হলে হয়তো ট্রাকের কাজ শুরু হবে।  ট্র্যাকের কাজ একবার শুরু হলে শেষ হতে কয়েক মাস লাগে।’ 

জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ এই বছরে যাতে বাদ না পড়ে এজন্য শুরুতেই করছে ফেডারেশন, ‘ফুটবলের সাথে সমন্বয় করে ট্র্যাকের কাজ শুরু হবে। শেষ হতে হয়তো এই বছর লেগে যাবে। তখন এই বছরে জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ আয়োজন করা নাও হতে পারে। এজন্য বাধ্য হয়ে এই ট্র্যাকেই করছি এবারের আসর।’

এজেড/এটি/এনইউ