ছবি : ঢাকা পোস্ট/ আরাফাত জোবায়ের

ম্যাচের পরপরই বসুন্ধরার স্প্যানিশ কোচ অস্কার ব্রুজনকে শূন্যে তুলে আনন্দ করেছেন। অধিনায়ক তপু বর্মণ ট্রফি নিয়ে সঙ্গে সঙ্গে নিয়েই তাদের কোচের হাতে হস্তান্তর করেছেন। ক্লাব কর্মকর্তারাও সবাই অস্কারকে নিয়েই যেন ব্যস্ত। হবেই না কেন ২০১৮ সালে দায়িত্ব নিয়ে এখন পর্যন্ত দুইটি ফেডারেশন কাপের চ্যাম্পিয়ন ট্রফি, লিগ ট্রফি ও স্বাধীনতা কাপ ট্রফি। সেই কোচকে নিয়ে তো বাড়তি উন্মাদনা হবেই। 

টানা দ্বিতীয় বারের মতো ফেডারেশন কাপের শিরোপা নিশ্চিতের পর স্প্যানিশ কোচ বলেন, ‘বসুন্ধরা কিংস সেরা সেটা প্রমাণ হলো। আমার ফুটবলাররা তাদের সেরাটাই দিয়েছে প্রতি ম্যাচে। এর প্রতিদানও এসেছে।’
 
সাইফ স্পোর্টিং বসুন্ধরার তুলনায় কিছুটা পিছিয়ে কাগজে-কলমে। সেই সাইফ বসুন্ধরাকে দারুণ লড়াই দেখিয়েছে। সাইফের কৌশল সম্পর্কে অস্কার বলেন,‘তারা রক্ষণাত্মক খেলে কাউন্টারে যাবে সেটা অনুমেয় ছিল। আমরা সেই কৌশল দারুণভাবে প্রতিরোধ করেছি।’
 
ফাইনালে গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকো অসাধারণ খেলেছেন। জিকোই মূলত সাইফের সামনে প্রাচীর হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। ম্যাচের পরে অবশ্য জিকোকে আলাদা কোনো প্রশংসা করেননি বসুন্ধরা কোচ, ‘সে বাংলাদেশের অন্যতম সেরা গোলরক্ষক। তার দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করেছে। শুধু সে নয় আমার দলের সবাই সবার দায়িত্ব সমানভাবে সম্পন্ন করেছে এজন্যই আমরা চ্যাম্পিয়ন। দলের বাইরে একজন রয়েছে যিনি ইমরুল হাসান (ক্লাব সভাপতি)। তার অবদান সবচেয়ে বেশি।’

অস্কার তার এই ট্রফিকে পরিবারের জন্য উৎসর্গ করলেন, ‘করোনার এই সময়ে আমার পরিবার অনেক ঝুঁকি নিয়ে আমার সঙ্গে বাংলাদেশে রয়েছে। তারা আমার সকল কাজের অনুপ্রেরণা। আমার পরিবারকে প্রথমে এরপর স্পেনে থাকা বন্ধুদের উৎসর্গ করলাম এই ট্রফি।’

ফেডারেশন কাপের শিরোপা তাদের লিগের শিরোপা অক্ষুণ্ন রাখার অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করবে বলে মনে করেন অস্কার, ‘প্রতিটি শিরোপাই আমাদের জন্য অনুপ্রেরণামূলক। এটা আশা করি লিগেও অনুপ্রেরণা দেবে।’

১৩ জানুয়ারি লিগ শুরু হবে। বসুন্ধরা কিংসের ক্লাব কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যে ফেডারেশন কাপ জয়ের জন্য ৪০ লাখ টাকা বোনাস ঘোষণা করেছে।
 
এজেড/ এমএইচ