লুকা মদ্রিচ/ছবি: সংগৃহীত

রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে লুকা মদ্রিচের চুক্তির বাকি আছে আর ছয় মাস। তবে ক্রোয়াট মিডফিল্ডার জানিয়েছেন, স্প্যানিশ চ্যাম্পিয়নদের সঙ্গে তার চুক্তি নবায়নের আলাপ এগোচ্ছে ঠিক পথেই।

রিয়াল মাদ্রিদে ২০১২-১৩ মৌসুম থেকেই আছেন মদ্রিচ। দলকে চারটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ আর দুটো লিগ শিরোপা জেতানোর অন্যতম কুশীলবও ছিলেন তিনি। ৩৫-এ পা দিলেও পারফর্ম্যান্সে একটুও মরচে ধরেনি তাতে। চলতি লিগের প্রথমার্ধে দারুণ সময় কেটেছে মদ্রিচের। ছিলেন লিগ ও চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেরা পারফর্মারদের একজনও ছিলেন তিনি। 

স্প্যানিশ সুপার কাপের সেমিফাইনালে অ্যাথলেটিক বিলবাওয়ের মুখোমুখি হওয়ার আগে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসেছিলেন কোচ জিনেদিন জিদানের সঙ্গে। তখন অবধারিতভাবেই উঠে এল চুক্তি নবায়নের প্রসঙ্গ। জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি এ নিয়ে কথা বলছি। আর নবায়নের আলাপ ঠিক পথেই এগোচ্ছে। যেভাবে সবকিছু এগোচ্ছে তাতে আমি বেশ আনন্দিত। কিন্তু আমি এরচেয়ে বেশি কিছুই বলতে পারবো না।’

করোনা-কবলিত সময়ের প্রভাব পড়েছে ফুটবলের সূচিতেও। ঠাসবুনোটের সূচীতে কোচ জিদান সবাইকে খেলাচ্ছেন ঘুরিয়ে ফিরিয়ে। মদ্রিচ মনে করেন দলের সবাই এতে করে সমান সুযোগ পাচ্ছে। তিনি বলেন, ‘আমি বুঝি না ধৈর্য কেন ধরছি না আমরা! দলের সবার উপরই কোচের ভরসা আছে। কিন্তু ম্যাচে সব খেলোয়াড়ই সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ, সবাই নিজেদের সামর্থ্যের সেরাটাই ঢেলে দেয়।’

ঘুরিয়ে ফিরিয়ে খেলানোর কৌশলে মাঠের সময়টা কিছুটা কমে গেছে মদ্রিচের। তবে এতে কোনো সমস্যা দেখছেন না মদ্রিচ। বললেন, ‘কোচ সবাইকেই সুযোগ দেবেন, যা তিনি সবসময়ই করে এসেছেন। এতে আমি কোন সমস্যাই দেখছি না।’

বয়স ৩৫ ছুঁয়ে ফেললেও পারফর্ম্যান্স এখনো আছে আগের মতোই। এজন্যে মদ্রিচ কঠোর পরিশ্রমও করছেন বলে জানালেন তিনি। ২০১৮ ব্যালন ডি’অর জয়ীর কথা, ‘ক্লাবের অনুশীলন সেশনের পরেও আমি অনেক কাজ করি। আমি লড়াইটা চালিয়ে যেতে চাই, দেখাতে চাই যে বয়স কোনো সমস্যা নয় আদৌ। বয়সের দিকে দেখার প্রয়োজন নেই, নিজেকে মাঠে প্রমাণ করতে হবে আপনাকে। আমি এটাই করতে চাই। তবে বিশেষ কিছু করছি না আমি। আমি মনে করি, আমি এই মানে আরও অনেক বছর ধরে খেলে যেতে পারবো।’

এনইউ/এটি