বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের চেয়ে এগিয়ে কুমিল্লার মাঠ!
গ্যালারিতে বসে মোহামেডান ও সাইফের ম্যাচ দেখছেন স্টুয়ার্ট ওয়াটকিস ছবি : ঢাকা পোস্ট/ আরাফাত জোবায়ের
১৪ দিন কোয়ারেন্টাইন কাটিয়ে স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় ফিরেছেন জাতীয় দলের ব্রিটিশ সহকারি কোচ স্টুয়ার্ট ওয়াটকিস। বৃহস্পতিবার কোয়ারেন্টাইন শেষ করেই কুমিল্লায় এসেছেন মোহামেডান ও সাইফের ম্যাচ দেখতে। ভিআইপি গ্যালারিতে বসে ম্যাচটি পর্যবেক্ষণ করেন তিনি।
ম্যাচ ও স্টেডিয়াম সম্পর্কে তার সামগ্রিক মূল্যায়ন, ‘এই মাঠে আমি আজই প্রথম আসলাম। গ্যালারিগুলো দারুণ সাজিয়েছে। তবে আমাকে মুগ্ধ করেছে ঘাসগুলো। একেবারে ফুটবল উপযোগী। খুবই ছোট ঘাস এখানে। বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের ঘাসগুলো একটু বড় তুলনামূলক। মাঠটি বেশ দ্রুতগতির। এ রকম মাঠ ফুটবলের জন্য খুব দরকার।’
বিজ্ঞাপন
সাইফ স্পোর্টিং ও মোহামেডানে জাতীয় দলের কয়েকজন ফুটবলার রয়েছেন। সামনে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ , বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ম্যাচ রয়েছে। জাতীয় দলের ফুটবলারদের ডাকতে নানা হিসাব-নিকেশ করতে হচ্ছে কোচিং স্টাফদের।
খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্স সম্পর্কে স্টুয়ার্ট বলেন, ‘জেমি (হেড কোচ) সিদ্ধান্ত নেবে। আমি আমার পর্যবেক্ষণগুলো বলব। ম্যাচটি ভালোই হয়েছে। বিদেশিদের একটু প্রাধান্য থাকলেও দেশি ফুটবলাররাও দারুণ খেলেছে।’
বিজ্ঞাপন
ম্যাচের প্রথম ত্রিশ মিনিট মোহামেডান খুব চেপে ধরেছিল সাইফ স্পোর্টিংকে। সাইফের গোলরক্ষক পাপ্পু হোসেন সর্বশেষ জাতীয় দলে ছিলেন। নিজের শিষ্য সম্পর্কে স্টুয়ার্ট বলেন, ‘সে প্রতিভাবান। আজ চাপের মধ্যে নিজেকে কিছুটা প্রমাণ করেছে। সামনে আরো কঠিন পরীক্ষা দিতে হবে।’
শনিবার কুমিল্লা ভেন্যুতে প্রিমিয়ার লিগের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংস ব্রাদার্সের বিরুদ্ধে খেলবে। জেমির আইসোলেশন পর্ব শেষ হবে ২৮ জানুয়ারি। এই ক’দিন স্টুয়ার্টকেই মূল পর্যবেক্ষণ করতে হবে।
শনিবারের ম্যাচে নাও আসতে পারেন স্টুয়ার্ট, ‘শনিবার ঢাকাতে দুইটি ম্যাচ রয়েছে। খুব সম্ভবত ঢাকাতেই থাকব। তবে জেমি বললে বসুন্ধরার ম্যাচে আসতেও পারি যেহেতু জাতীয় ফুটবলার রয়েছে অনেক।’
স্টুয়ার্ট জেমি ডে’র সহকারি হিসেবে আছেন প্রায় বছর দুয়েক। নেপালের বিরুদ্ধে প্রথম প্রীতি ম্যাচের পর জেমি ডে করোনা পজিটিভ ছিলেন। তখন দ্বিতীয় ম্যাচে স্টুয়ার্ট হেড কোচের দায়িত্ব পালন করেন। দোহাতে তার অধীনেই বাংলাদেশ দল প্রায় দশদিন অনুশীলন করেছিল জেমির অনুপস্থিতিতে।
এজেড/এমএইচ/এটি