কলকাতা থেকে জামাল জানালেন, ‘টাকা পেয়েছি’
ছবি: সংগৃহীত
আই লিগে চার রাউন্ড শেষ হওয়ার পর প্রথম পারিশ্রমিক বুঝে পেলেন কলকাতা মোহামেডানের ফুটবলাররা। সোমবার কলকাতা মোহামেডান থেকে পারিশ্রমিক পেয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া। মঙ্গলবার সকালে তিনি ঢাকা পোস্টকে জানান, ‘ডিসেম্বর ও জানুয়ারি মাসের টাকা আমি পেয়েছি। আমার সতীর্থরাও হয়তো জানুয়ারি পর্যন্ত পেয়েছে।’
জামাল ভূঁইয়ার সঙ্গে কলকাতা মোহামেডানের চুক্তি ২০২০ সালের ১ ডিসেম্বর থেকে ২৫ এপ্রিল ২০২১ পর্যন্ত। অবশিষ্ট চুক্তিকৃত অর্থের ব্যাপারে জামাল বলেন, ‘জানুয়ারি এখনো শেষ হয়নি। ক্লাব অফিসিয়ালরা আশ্বাস দিয়েছেন অবশিষ্ট অংশ যথাসময়ে দেয়ার।’
বিজ্ঞাপন
কলকাতা মোহামেডান আর্থিক ও সাংগঠনিক সমস্যার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। তিন রাউন্ড শেষ হওয়ার পরেও কোনো অর্থ না পাওয়ায় একদিন অনুশীলন বয়কটে বাধ্য হন ফুটবলাররা। গত শুক্রবার ক্লাব সভাপতি আমিরউদ্দিনের নিজস্ব অফিসে জরুরি বৈঠকে নিজেদের উদ্যোগে ফুটবলারদের পাওনা বুঝিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। সোমবার প্রায় সকল ফুটবলার তাদের চুক্তিকৃত অর্থের ৩০-৩৫ শতাংশ পেয়েছেন। বাকি অর্থ কবে নাগাদ পান ফুটবলাররা সেই শঙ্কা রয়েই যাচ্ছে।
করোনা ভাইরাসের জন্য বাংলাদেশ প্রিমিয়ার ফুটবল লিগে গত মৌসুমের পারিশ্রমিকের সর্বনিম্ন ৩৫ শতাংশ পাচ্ছেন এই মৌসুমে ফুটবলাররা। বাংলাদেশ লিগের করোনা পরবর্তী পারিশ্রমিক নীতিমালায় অসন্তোষ ছিলেন জামাল। এজন্য কলকাতা মোহামেডানের প্রস্তাবে রাজি হন জামাল। বেশি সম্মানীর আশায় কলকাতায় গেলেও আর্থিকভাবে স্বাচ্ছন্দ্যে নেই জামালের। জামাল সর্বশেষ বাংলাদেশে খেলেছেন সাইফ স্পোর্টিংয়ে। সাইফ স্পোর্টিংয়ের বেতন কাঠামো খুবই পেশাদার। খেলোয়াড়দের অগ্রিম পারিশ্রমিক দিয়ে থাকে সাইফ আর সেখানে কলকাতা মোহামেডানে পাওনার জন্য আন্দোলন করতে হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
বিশ্ব ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা ফুটবলারদের পারিশ্রমিকের ব্যাপারে জিরো টলারেন্স নীতিতে। শেষ পর্যন্ত যদি চুক্তিকৃত পুরো সম্মানী না পেলে সেক্ষেত্রে হয়তো ফিফার দ্বারস্থও হতে পারেন কলকাতা মোহামেডানের ফুটবলাররা।
আই লিগে কলকাতা মোহামেডান ৪ ম্যাচে এক জয় ও ৩ ড্রয়ে ছয় পয়েন্ট নিয়ে যুগ্মভাবে দ্বিতীয় স্থানে। কলকাতা মোহামেডানের পরবর্তী ম্যাচ ৩ ফেব্রুয়ারি। আই লিগের চ্যাম্পিয়ন দল ভারতের ফুটবলের সর্বোচ্চ স্তর আইএসএলে খেলবে।
এজেড/এটি/এনইউ