শেখ জামালকে থামাতে পারছে না কেউ
ছবি : সংগৃহীত
শেখ জামাল ধানমিন্ড ক্লাবের জয় রথ থামাতে পারছে কোনো দল। শনিবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে আরেক জায়ান্ট শেখ রাসেলকে ৪-২ গোলে হারিয়েছে শফিকুল ইসলাম মানিক শিষ্যরা। শেখ জামাল পাঁচ ম্যাচে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে। কিংস এক ম্যাচ বেশি খেলে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে এককভাবে শীর্ষে। সাইফুল বারী টিটুর শেখ রাসেল ছয় ম্যাচে ১৩ পয়েন্টে চতুর্থ স্থানে নেমে গেছে।
বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ১৩ মিনিটেই শেখ জামাল গোল পেতে পারত। ওতাবেকের ফ্রি-কিক সরাসরি ক্রস বারে লেগে প্রতিহত হয়। ৩১ মিনিটের সময় নুরুল আবছারের আচমকা বুলেট গতির ভলি বার কাঁপালে গোল পাওয়া হয়নি শফিকুল ইসলাম মানিকের দলের।
বিজ্ঞাপন
৩৮ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে গাম্বিয়ার সুলায়মান সিল্লাহর ডান পায়ের শট গোলরক্ষক আশরাফুল ইসলাম রানার হাত ফসকে জালে জড়িয়ে যায়। ইনজুরি সময়ে সতীর্থের থ্রু থেকে গাম্বিয়ান ওমর জোবে বক্সে ঢুকে ডান পায়ের জোরালো শটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন।
৫৯ মিনিটে শেখ রাসেলকে আরও কোনঠাসা করে শেখ জামাল। বাঁ প্রান্ত থেকে সুলেমান কিংয়ের শট তাজিকিস্তানের ডিফেন্ডার সিওভুস আসরোরভ ফেরানোর পর জোবের ফিরতি কোনাকুনি শটে পরাস্ত হন রানা।
৬৬ মিনিটে ডি-বক্সে ঢুকে ভালো পজিশন থেকে ক্রসবার উঁচিয়ে মেরে ম্যাচে ফেরার সুযোগ নষ্ট করেন শেখ রাসেলের মোহাম্মদ ইলিয়াস। তিন মিনিট পর গোল পায় সাইফুল বারীর শিষ্যরা। দুইশবেকভের কর্নারে মোনেকের হেড দূরের পোস্টে লাগার পর জিয়াউর রহমান ফেরালে বল গোললাইন পেরিয়ে যায়।
বিজ্ঞাপন
৭৪ মিনিটে শেখ রাসেলের ঘুরে দাঁড়ানোর পথটা আরও কঠিন করে দেয় সলোমন কিংয়ের পেনাল্টি গোল। বক্সে গাম্বিয়ার এই ফরোয়ার্ডকে পেছন থেকে ট্যাকেলে বদলি ডিফেন্ডার রাশেদুল আলম মনি ফেলে দিলে পেনাল্টির বাঁশি বাজিয়েছিলেন রেফারি।
দুইশবেকভ ৮২ মিনিটে স্পট কিক থেকে ব্যবধান কমান। ডি-বক্সে মোহাম্মদ আব্দুল্লাহকে মনির হোসেন ফাউল করলে পেনাল্টি পায় শেখ রাসেল।
এজেড/এমএইচ