‘আরচ্যারির জন্য নতুন জায়গা দেখতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী’
ছবি: সংগৃহীত
আরচ্যারি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সাফল্য আনছে। টোকিও অলিম্পিক নিশ্চিত করেছেন আরচ্যার রোমান সানা। আরচ্যাররা টঙ্গীর শহীদ আহসানউল্লাহ স্টেডিয়ামে অনুশীলন করছিলেন। কিন্তু এর মধ্যে ফুটবল প্রিমিয়ার লিগের ভেন্যু করায় আরচ্যাররা খানিকটা অসন্তোষ।
নানা জলঘোলার পর এই মাঠে বুধবার হয়েছে বিপিএলের প্রথম ম্যাচ। উদ্বোধন করতে এসে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল জানিয়েছেন, আরচ্যারিকে বাদ দিয়ে নয়, বরং সমঝোতার ভিত্তিতেই টঙ্গীতে হচ্ছে ফুটবল।
বিজ্ঞাপন
শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার স্টেডিয়ামের পাশাপাশি আরচ্যারির জন্য নতুন জায়গা দেখতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আরচ্যারির নতুন জায়গা দেওয়ার ব্যাপারে প্রতিমন্ত্রী রাসেল বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ইতোমধ্যে আরচ্যারির জন্য ন্যাশনাল পার্ক বা অন্য এলাকায় জায়গা দিতে বলেছেন। আমরা তাদেরও বলেছি এই স্টেডিয়ামের পাশাপাশি নতুন একটা জায়গা দেখেন। যদি এটার পাশাপাশি আরেকটা জায়গা পাওয়া যায়। যেহেতু বন জঙ্গলের সঙ্গে আরচ্যারির একটা সম্পর্ক আছে। ওরকম জায়গা যদি পাওয়া যায়, ওখানে তাদের সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি করা হবে। এই মাঠটি আরচ্যারির বাইরে যাচ্ছে এমন কোনো সিদ্ধান্ত নেইনি। আপাতত নিবো না। কারণ আরচ্যারি আমাদের অনেক কিছু দিয়েছে।’
টঙ্গীর ভেন্যুর ব্যাপারে ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আরচ্যারির জন্য বিকল্প ব্যবস্থা না করে এই মাঠ কোনোভাবেই বাতিল করা হবে না। আরচ্যারির মাঠ এখানে আছে, থাকবে। সপ্তাহে সাতদিনে তাদের একদিন বন্ধ থাকে, ওইদিন এখানে ফুটবল হবে। এটা সম্মিলিতভাবেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
বিজ্ঞাপন
বাফুফের সিনিয়র সহ সভাপতি ও পেশাদার ফুটবল লিগ কমিটির চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম মুর্শেদি বলেন, ‘আমি শুধু এটুকুই বলবো, খেলার জন্য মাঠ কিন্তু সবার। আরচ্যারি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সুনাম অর্জন করেছে। আমি মনে করি তাদের জন্য আরও বড় কিছু অপেক্ষা করছে।’
গত সাফ গেমসে বাংলাদেশের যখন পদকের জন্য হাহাকার করছে, তখন দশ স্বর্ণ এনে দিয়েছিল আরচ্যারি।
উল্লেখ্য, গত ২ বছর ধরেই নিয়মিত আরচ্যারির অনুশীলন চলছে গাজীপুরের শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার স্টেডিয়ামে। তবে চলতি বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ ফুটবলও এই স্টেডিয়ামে আয়োজন করছে বাফুফে।
এজেড/এমএইচ/এটি/টিআইএস