শেষ বেশ কয়েক সপ্তাহ জোর আলোচনা চলছিল তাকে নিয়ে, অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে তিনি আদৌ খেলবেন কিনা তা নিয়ে। সব আলোচনা, জল্পনা-কল্পনার অবসান অবশেষে ঘটালেন বিশ্বসেরা টেনিস তারকা নোভাক জকোভিচ। জানালেন বছর শুরুর গ্র্যান্ড স্ল্যামে থাকবেন তিনি। তবে তার এই খেলার অনুমতি মিলেছে ‘বিশেষ এক ছাড়’ এর সুবাদে।

করোনার টিকা নেওয়া হয়েছে কিনা, এর সপক্ষে প্রমাণ দেখালে পরে মিলবে প্রবেশাধিকার। সেখানেই জকোভিচের যত আপত্তি; অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নের মতে, সেটায় ব্যক্তিস্বাধীনতায় আঘাত হানা হয়।

সব আলোচনার শুরু সেখানেই। ভিক্টোরিয়া সরকার করোনার টিকা নেওয়ার প্রমাণ ছাড়া প্রবেশাধিকার দেবে না, অন্য দিকে জকোভিচ করোনা-টিকার প্রমাণ দেখাবেন না; দু’পক্ষই তাদের অবস্থানে অটল ছিল। সে কারণে শেষ পর্যন্ত নিয়মের বেড়াজালে আটকে খেলা হবে না ‘জোকারের’, এমনটাই ছিল গুঞ্জন। 

তবে শেষমেশ তাকে নত হতে হয়নি। বরং অজি ওপেন কর্তৃপক্ষই নতি শিকার করে তাকে খেলার সুযোগ করে দিয়েছে বছরের প্রথম এই গ্র্যান্ড স্ল্যামে। সার্বিয়ান এই তারকাকে সেখানে খেলতে করোনা-টিকার সনদ দেখাতে হবে না জানিয়েছেন প্রতিযোগিতার পরিচালক গ্রেগ টিলি। 

তবে এই ছাড় এখন পর্যন্ত একমাত্র জোকারের জন্যই দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। টিলি জানিয়েছেন, কারো বিশেষ কোনো কারণ থাকলে, এবং তা স্বাধীন কমিটির মাধ্যমে পরখ করার পরই মিলবে এই বিশেষ ছাড়। তা না হলে করোনার টিকা নেওয়ার প্রমাণ না দেখালে মিলবে না টুর্নামেন্টে খেলার ছাড় পত্র। 

সেই ছাড়পত্র পাওয়ার পর অবশ্য দেরি করেননি সার্বিয়ান তারকা। বাক্সপেটরা গুছিয়ে উড়াল দিয়েছেন তাসমান সাগরপাড়ে। মঙ্গলবার নিজের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটা ছবিও পোস্ট করেছেন তিনি। 

ক্যাপশনে নিজের অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে খেলার কথা জানানোর পাশাপাশি সব অনুসারীকে নতুন বছরের শুভেচ্ছাও জানিয়েছেন জোকার। লিখেছেন, ‘সবাইকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা। এই ছুটিতে আমি আমার পরিবারের সঙ্গে দারুণ সময় কাটিয়েছি। আজ মেডিক্যাল ছাড় পাওয়ার সুবাদে আমি ডাউন আন্ডারের (অস্ট্রেলিয়া) উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেছি। ২০২২ সালের জন্য আমি তৈরি।’

উল্লেখ্য, গেল বছর মৌসুম শুরুর এই টুর্নামেন্টে বিজয়ীর হাসি হেসেছিলেন তিনি। ফাইনালে দানিল মেদভেদেভকে ৭-৫, ৬-২, ৬-২ গেমে সরাসরি সেটে হারিয়েছিলেন তিনি। সব মিলিয়ে জোকারের ক্যারিয়ারের নবম অজি ওপেন শিরোপা ছিল সেটি।

এনইউ