ফুটপাতজুড়ে বই, নিতে পারবেন সবাই
বিনামূল্যে বই নিতে শত শত শিক্ষার্থীর ভিড়
পৃথিবীতে মানুষের মধ্যে যত রকমের পছন্দ থাকুন না কেন, তার মধ্যে বই অন্যতম। ব্যস্ততম একটি শহরের ফুটপাতজুড়ে রয়েছে বই। প্রত্যেকেই নিজের পছন্দ অনুযায়ী দুটি বই নিয়ে যেতে পারবেন। চাঁদপুর শহরের ব্যস্ততম এলাকা কাজী নজরুল ইসলাম সড়কে এমনই দৃশ্য চোখে পড়ে।
বৃহস্পতিবার (৪ মার্চ) দিনভর চাঁদপুর আলআমিন স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে থেকে শুরু করে চাঁদপুর প্রেসক্লাব পর্যন্ত ছিল বইয়ের সমাহার। বই নিতে সেখানে ভিড় জমান শত শত শিক্ষার্থী। আর এটি ‘পূর্ণয়’ নামে একটি সংগঠনের আয়োজনে ও এনসিটিএফের (ন্যাশনাল চিলড্রেনস টাস্কফোর্স) সহযোগিতায় উৎসবটির নাম ছিল ‘পুঁথি সরণি উৎসব’।
বিজ্ঞাপন
চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এএইচএম আহসান উল্লাহ বলেন, যারা এই আয়োজনের সাথে জড়িত, তারাই আমাদের গর্ব। এ যেন বিনামূল্যে বই বিতরণ উৎসব। পুরো সড়ক ছিল বই আর শিক্ষার্থীদের উচ্ছ্বাস। যেন বইময় সড়ক।
এদিকে পুঁথি সরণি উৎসবে শিক্ষার্থীসহ নানান বয়সের মানুষ লাইনে দাঁড়িয়ে বই হাতে নিয়ে নেড়েচেড়ে দেখছেন, কেউ পড়ছেন, কেউ আবার নিজের পড়া বইটি রেখে নতুন একটি বই নিচ্ছেন। কেউবা আবার স্বেচ্ছায় একাধিক বই রেখে আয়োজনে সহযোগিতা করছেন।
বিজ্ঞাপন
সারাদেশের মানুষের মাঝে চাঁদপুর জেলাকে নতুন আঙ্গিকে তুলে ধরার লক্ষ্যে চাঁদপুরের উদীয়মান সাহিত্যপ্রেমী একঝাঁক তরুণ-তরুণী এই পুঁথি সরণি উৎসবের আয়োজন করেন।
পূর্ণয়ের সভাপতি সিয়াম পাটোয়ারী বলেন, ‘আমাদের মূল লক্ষ্য হলো মানুষের হাতে শর্তহীন বিনামূল্যে বই তুলে দেওয়া ও সকলকে বই পড়ার সুযোগ করে দেওয়া। বই মানুষের অন্যতম ভালো বন্ধু। বই ব্যক্তিকে আলোকিত করে। তাই বইয়ের সাথে মানুষের সম্পর্ক গাঢ় করতেই আমাদের এই আয়োজন।’
স্মার্টার টিচিং ফর অল এর প্রতিষ্ঠাতা তাওহিদুল ইসলাম বলেন, চাঁদপুরে এমন আয়োজন আগে কখনো হয়নি। সারাদেশের মানুষের মাঝে চাঁদপুর জেলাকে নতুন আঙ্গিকে তুলে ধরার লক্ষ্যে এই আয়োজন।
এনসিটিএফ চাঁদপুরের সভাপতি আঞ্জুমান আরা আকসা বলেন, উৎসবে যারা বই দিয়ে সহযোগিতা করেছেন, তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।
শরীফুল ইসলাম/এমএসআর