চুয়াডাঙ্গায় শহীদ বেদীতে সোমবার জেলা ছাত্রলীগের শ্রদ্ধাঞ্জলি

৭ ডিসেম্বর, সোমবার চুয়াডাঙ্গা মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর কবল থেকে মুক্ত হয় চুয়াডাঙ্গা। 

মুক্তিযোদ্ধারা জানান, ৬ ডিসেম্বর পাকবাহিনী মেহেরপুর থেকে ২৮ কিলোমিটার পথ হেঁটে চুয়াডাঙ্গার দিকে আসে। ওই দিন সন্ধ্যায় মাথাভাঙ্গা নদীর ওপর নির্মিত ব্রিজটি পাকবাহিনীর বোমার আঘাতে ভেঙে যায়। ৭ ডিসেম্বর সন্ধ্যার মধ্যে পাকবাহিনী চুয়াডাঙ্গা শহর ও আলমডাঙ্গা ছেড়ে কুষ্টিয়ার দিকে চলে যায়। শত্রুমুক্ত হয় চুয়াডাঙ্গা। 

চুয়াডাঙ্গা শত্রুমুক্ত হওয়ার পর মোস্তফা আনোয়ারকে মহকুমা প্রশাসকের দায়িত্ব দিয়ে বেসামরিক প্রশাসন চালু করা হয়। দেশ স্বাধীনের ৪৯ বছর পরেও চুয়াডাঙ্গায় কোনো স্মৃতিসৌধ নির্মিত হয়নি। ১৯৯৪ সালে স্থানীয় শহীদ হাসান চত্বরে একটি স্মৃতিসৌধ নির্মিত হয়। ২০০৪ সালে অবৈধ স্থাপনা হিসেবে চিহ্নিত করে ভেঙে ফেলা হয় স্মৃতিসৌধটি।

চুয়াডাঙ্গা মুক্ত দিবস পালন উপলক্ষে জেলা প্রশাসন বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে। সোমবার সকাল ৯টায় আট শহীদ বেদীতে চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগ, শ্রমিকলীগ ও ছাত্রলীগ পুষ্পমাল্য অর্পণ করে। পুষ্পমাল্য অর্পণ শেষে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।

চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন এমপি এবং সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদুজ্জামান লিটুর নেতৃত্বে চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগ; জাতীয় শ্রমিকলীগের চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার সভাপতি আফজালুল হক বিশ্বাস এবং সাধারণ সম্পাদক রিপন মন্ডলের নেতৃত্বে জাতীয় শ্রমিকলীগ; চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোহাইমেন হাসান জোয়ার্দ্দার অনিক ও সহ-সভাপতি শাহাবুল হোসেনের নেতৃত্বে চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও সন্ধ্যায় মোমবাতি প্রজ্জ্বালন করা হবে।

এসপি