যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্র

যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্র থেকে ৮ বন্দি পালিয়েছে। রোববার রাতে আবাসিক ভবনের জানালা ভেঙে পালিয়েছে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়ক জাকির হোসেন। 

পলাতকরা হলো- যশোরের হৃদয়, ফারদিন, আব্দুল কাদের; খুলনার রোহান গাজী, সোহাগ শেখ; নড়াইলের মুন্না গাজী; গোপালগঞ্জের শাহ আলম; বরিশালের মাইনুর রহমান শাকিব। এ ঘটনায় যশোর কোতোয়ালি মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।

যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়ক জাকির হোসেন বলেন, রোববার রাত ২টা ১৪ থেকে ২০ মিনিটের মধ্যে কেন্দ্রের ৮ শিশু জানালা ভেঙে পালিয়ে গেছে। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিষেধাজ্ঞার কারণে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে অস্বীকার করেছেন তিনি।

যশোর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আশরাফ হোসেন বলেন, ইতোমধ্যে যশোর পুলিশ বিভাগের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। পালিয়ে যাওয়া শিশুদের মূল ভবনের পাশে গার্ড ভবনে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছিল। সেখানকার বাথরুমের জানালার গ্রিল ভেঙে তারা বাইরে বের হয়। পরে মই ব্যবহার করে পালিয়ে যায়। 

এর আগেও একাধিক পালানোর ঘটনা ঘটেছে। পালিয়ে যাওয়াদের ধরতে অভিযান শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা পুলিশ বিভাগের এ কর্মকর্তা।

উল্লেখ্য, যশোর শহরতলীর পুলেরহাটে কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রটি (শিশু উন্নয়ন কেন্দ্র) অবস্থিত। চলতি বছরের ১৩ আগস্ট তিন বন্দিকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। সেই ঘটনার পর দায়িত্বরত বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। হত্যা মামলাও চলছে। 

হত্যাকাণ্ড ছাড়াও কেন্দ্রটি থেকে ‘বন্দি’ পালানোর ঘটনা আগে বেশ কয়েকবার ঘটেছে। দুর্নীতি, অনিয়ম, দায়িত্বে অবহেলার কারণে সমাজসেবা অধিদফতর পরিচালিত কেন্দ্রটিতে নানা অঘটন ঘটে বলে একটি ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটি জানিয়েছিল।

এসপি