পুত্র এরিক এরশাদকে সঙ্গে নিয়ে এরশাদের সমাধিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন বিদিশা

বর্তমান জাতীয় পার্টি (জাপা) এরশাদের জাতীয় পার্টি নয় বলে মন্তব্য করেছেন বিদিশা এরশাদ। তিনি বলেন, এখন যে জাতীয় পার্টি সেটি এরশাদের জাতীয় পার্টি না। এরশাদবিহীন জাতীয় পার্টি লাইফ সার্পোটে চলে গেছে। জাতীয় পার্টিকে পুরোনো রূপে ফিরিয়ে আনতে আমি চেষ্টা করছি।

শুক্রবার (১ জানুয়ারি) দুপুরে রংপুরের পল্লী নিবাসে জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের সাবেক স্ত্রী বিদিশা এসব কথা বলেন। এর আগে তিনি পুত্র এরিক এরশাদকে সঙ্গে নিয়ে এরশাদের সমাধিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন। 

বিদিশা এরশাদ আরও বলেন, আমি যুব ও তৃণমূলের মানুষদের দলে আনতে কাজ করব। এতে করে জাতীয় পার্টিতে স্বঘোষিত চেয়ারম্যান ঘোষণা দেয়ার আর জায়গা থাকবে না। ভবিষ্যতে পার্টিতে আর যেন স্বঘোষিত চেয়ারম্যান হতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখব।

দলকে সুসংগঠিত করতে এবং পুরোনো রূপে ফিরিয়ে আনতে এরিক এরশাদকে সঙ্গে নিয়ে টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া, রূপসা থেকে পাটুরিয়া যাওয়ার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেন বিদিশা। দলকে সুসংগঠিত করতে সারাদেশে জাতীয় পার্টির সাবেক ও বর্তমান নেতৃবৃন্দদের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের ঘরে ঘরে যাওয়ার কথাও জানান তিনি।

বিদিশা বলেন, যে কোনো দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আসলে সেই দলের নেতাকর্মীরা দলের প্রধানদের কবর জিয়ারত করতে যান। অন্যরা এখানে কে কি করছে আমি জানি না। এরিকের ইচ্ছা অনুযায়ী আমরা রংপুরে এসে সাবেক রাষ্ট্রপতি জাপা চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের কবর জিয়ারত করলাম। 

এদিকে এরশাদের কবর জিয়ারত শেষে কেঁদেছেন সাবেক স্ত্রী বিদিশা এরশাদ ও পুত্র এরিক এরশাদ। এরিক তার বাবার করবের নাম ফলক মুছে পরিষ্কার করে কয়েক মিনিট কাঁদেন। এরপর এরশাদের পল্লী নিবাস বাসভবনে জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কেক কাটা হয়। 

এ সময় হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ট্রাস্টের চেয়ারম্যান জাপার সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী মামুনুর রশীদ, সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য জাফর আহমেদ সিদ্দিকী, হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ট্রাস্টের পরিচালক অ্যাডভোকেট রুবায়েত হাসান, প্রেস সচিব এএসএম সায়েম সাকলায়েম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।  

এদিকে এরশাদের সমাধিতে বিদিশা ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করলেও রংপুর জেলা ও মহানগর জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীদের কাউকে সেখানে দেখা যায়নি। তবে বিকেলে পল্লী নিবাসে এবং জাতীয় পার্টির দলীয় কার্যালয়ে বিভিন্ন কর্মসূচি পালনের প্রস্তুতি নিয়েছে দলটির নেতারা।

উল্লেখ্য, সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ ১৯৮৬ সালের ১ জানুয়ারি জাতীয় পার্টি গঠন করেন। বর্তমানে জাতীয় পার্টি তিনটি অংশে বিভক্ত। মূল দলের নেতা জি এম কাদের, তবে অন্য দুইটি অংশের নেতা আনোয়ার হোসেন মঞ্জু ও নাজিউর রহমান মঞ্জু।

আরএআর