ঠাকুরগাঁওয়ে মা ও স্ত্রীকে নিয়ে করোনাভাইরাসের দুই ডোজ টিকাগ্রহণের পর ভুলে ভরা সনদপত্র পেয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন এক শিক্ষক। নিজের সনদপত্রের সব কিছু ঠিকঠাক থাকলেও মা ও স্ত্রীর প্রথম ডোজের টিকাগ্রহণের তারিখ ১৪ দিন পিছিয়ে উল্লেখ করা হয়েছে। এ ঘটনায় টিকার মান ও কার্যকারিতা নিয়ে বিভ্রান্ত হয়ে পড়েছেন শাহজাহান-ই-হাবিব নামের এ শিক্ষক।

তিনি সদর উপজেলার গিলাবাড়ী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এবং ঠাকুরগাঁও শহরের শাহপাড়া এলাকার বাসিন্দা। এ ঘটনায় তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্টও দিয়েছেন।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, চলতি বছরের ১১ ফেব্রুয়ারি আমি, আমার মা ও স্ত্রী ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতাল থেকে কোভিড ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ গ্রহণ করি। যা আমাদের টিকাগ্রহণের কার্ডেও উল্লেখ রয়েছে। পরবর্তী ডোজের তারিখ উল্লেখ করা হলেও ১৩ এপ্রিল। কিন্তু সেদিন শুধুমাত্র আমি ম্যাসেজ পেয়ে টিকাগ্রহণ করেছি। তারা নিতে পারেনি। পরে সিভিল সার্জন কার্যালয়ে যোগাযোগ করার পর তারা (মা ও স্ত্রী) ২৭ এপ্রিল দ্বিতীয় ডোজের টিকা গ্রহণ করে। 

তিনি আরও বলেন, দুদিন আগে তিনজনেরই টিকাগ্রহণের সনদপত্র ডাউনলোড দেয়ার পর দেখি আমারটা ঠিক আছে। কিন্তু আমার স্ত্রী  জিন্নাতুন নেহার (৪৭) ও মা আলেমা রছুলের (৭৫) প্রথম ডোজ গ্রহণের তারিখ লেখা রয়েছে ২৫ ফেব্রুয়ারি। অথচ তারা আমার সঙ্গে ১১ ফেব্রুয়ারি প্রথম ডোজের টিকা নিয়েছে। এমন ঘটনায় আমরা সবাই চিন্তিত।

শাহজাহান-ই-হাবিব বলেন, করোনার ভ্যাকসিনের সনদপত্র ছোটখাটো কোনো বিষয় না। করোনা ও করোনার টিকা নিয়ে অবহেলার কোনো সুযোগ নেই। এমনিতেই তো এক শ্রেণির মানুষ টিকা নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। এমন ভুল হলে তো মানুষ আরও আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে।

তিনি বলেন, করোনার বিষয়ে স্বাস্থ্য বিভাগকে আরও তৎপর হওয়া জরুরি। এসব ক্ষেত্রে তাদের বিচক্ষণতার পরিচয় দেয়া উচিত। আমার মা ও স্ত্রীর সনদপত্রের এসব ভুলের সমাধান কি প্রশ্ন রেখে, করোনা মোকাবিলায় তিনি সবাইকে টিকা নেয়ার আহ্বান জানান।

এ প্রসঙ্গে ঠাকুরগাঁওয়ের সিভিল সার্জন ডা. মাহফুজার রহমান সরকার ঢাকা পোস্টকে বলেন, প্রথম দিকে ভ্যাকসিনের অতিরিক্ত চাপ ছিল। প্রতিদিন অনেক চাপ পড়ত সার্ভারে। এ কারণে হয়তো এই সমস্যা হয়েছে। তবে এটা কোনো বড় সমস্যা নয়। প্রতিদিন যারা টিকা নিচ্ছেন সেগুলোর রিপোর্ট আমাদের এন্ট্রি করতে হয়। এখন সার্ভার সমস্যা হলে কি করার থাকে। আমরা সঠিক দিনেই সকল তথ্য এন্ট্রি করে থাকি। 

নাহিদ রেজা/এমএএস