ফুলকপি

বন্যা ও বৃষ্টিপাতের কারণে এ বছর কুড়িগ্রামের কৃষকরা সময়মতো ফুলকপির চাষ করতে পারেননি। তবে একটু দেরিতে হলেও ফলন হয়েছে বাম্পার। কিন্তু বাজারে ফুলকপির আমদানি বেশি থাকায় ন্যায্য দাম না পাওয়ায় চরম ক্ষতির মুখে পড়ছেন কৃষকরা। প্রতি পিস ফুলকপি বাজারে মাত্র চার টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। 

কুড়িগ্রাম কৃষি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, জেলায় এবার সবজি চাষ ৪ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে অর্জিত হয়েছে। তবে শুধু ফুলকপি সাড়ে ৪০০ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে।

কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের চৈতের খামার গ্রামের কৃষক নজরুল ইসলাম বলেন, আমি ২০ শতক জমিতে ৯-১০ হাজার টাকা ব্যয়ে ফুলকপি চাষ করছি। এখন পযর্ন্ত ভালো দাম না থাকায় বিক্রি করতে পারিনি। বর্তমানে ১০০ পিস ফুলকপি মাত্র ৪০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এ দামে বিক্রি করলে তো আমার আসল টাকা উঠবে না। আমদানি বেশি থাকায় ফুলকপির চাহিদা কম বলেও জানান এ কৃষক। 

 মাঠেজুড়ে শোভা পাচ্ছে ফুলকপি 

ওই ইউনিয়নের আরেক কৃষক রফিকুল ইসলাম বলেন, আমি এক বিঘা জমিতে চমক জাতের হাইব্রিড ফুলকপি চাষ করছি। দুইদিন আগে বাজারে ৩-৪ টাকা দরে প্রতি পিস বিক্রি করছি। এ দরে বিক্রি করলে তো আসল টাকা উঠবে না। এভাবে লোকসান হলে কৃষকরা তো মরে যাবে।

কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কৃষি কর্মকর্তা মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, ফুলকপির আমদানি বেশি থাকায় বর্তমান দামটা কম। যে সকল কৃষক প্রথম দিকে ফুলকপি বিক্রি করেছেন তারা ৭০-৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছিলেন।

জুয়েল রানা/এসপি