প্রচণ্ড ঠান্ডায় আলু খেতের ক্ষতির আশঙ্কা
আলু খেতে কীটনাশক ছিটাচ্ছেন এক কৃষক
এ বছর কুড়িগ্রামে আলু চাষের পরিধি বৃদ্ধি পেয়েছে। খরচ বেশি হলেও অন্যান্য ফসলের আবাদ কমিয়ে বাড়িয়ে দেওয়া হয় আলুর আবাদ। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দাম পাবেন কি না তা নিয়েও কিছুটা শঙ্কায় রয়েছেন তারা। তাছাড়াও এক সপ্তাহ ধরে প্রচণ্ড ঠান্ডায় আলু খেতের ক্ষতি আশঙ্কা করছেন কৃষকরা।
রোববার (৩১ জানুয়ারি) স্থানীয় আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে কুড়িগ্রামে। তাপমাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বিজ্ঞাপন
এ মৌসুমে কৃষকদের চাহিদা অনুযায়ী আলুর ফলন হলে এবং বাজার নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে দরপতন ঠেকানো গেলে কৃষকরা লাভবান হতে পারবেন। পাশাপাশি এ জেলায় উৎপাদিত আলুর চাহিদা মেটাতে পারবে দেশের অন্যান্য জেলাও।
কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী চলতি মৌসুমে কুড়িগ্রাম জেলায় ৬ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও অর্জন হয়েছে ৬ হাজার ৮০০ হেক্টর জমিতে।
বিজ্ঞাপন
কুড়িগ্রাম সদর পাঁচগাছী ইউনিয়নের উত্তর নওয়াবস গ্রামের কৃষক সামছুল মিয়া বলেন, আমি ১৫ একর জমিতে আলু চাষ করছি, ফলনও ভালো হয়েছে। গত এক সপ্তাহ ধরে ঠান্ডা বেশি থাকায় হিম নামের একটি রোগ ধরেছে। জমিতে ওষুধ দিচ্ছি, দেখা যাক কী হয়।
ওই গ্রামের আরেক কৃষক ছামিউল জানান, আমিও দুই বিঘা জমিতে আলু চাষ করছি, ফলনও ভালো হয়েছে। তবে কয়েকদিন ধরে ঠান্ডায় কেতের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে তিনি।
কুড়িগ্রাম বিএডিসির উপপরিচালক কৃষিবিদ মাসুদ সুলতান বলেন, জেলায় আলু বীজের মোট চাহিদার ৫ থেকে ৬ ভাগ সরকারিভাবে বিএডিসির মাধ্যমে সংরক্ষণ করা হয়। বাকি চাহিদা পূরণ করে কৃষক ও বেসরকারিভাবে আলু বীজ উৎপাদনকারীরা বলে জানালেন বিএডিসির এ কর্মকর্তা।
কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কৃষি কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বলেন, ঠান্ডায় আলু খেতে ব্লাস্ট নামের একটি রোগ হয়। এ রোগ হলে গাছের পাতা পড়ে যায়। মাঠপর্যায়ে কৃষকদের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে, যাতে ভালোভাবে আলুর ফলন ঘরে তুলতে পারেন কৃষকরা।
জুয়েল রানা/এমএসআর