বাংলাদেশ টেলিভিশনের ৫৬তম জন্মদিন ছিল ২৫ ডিসেম্বর। ১৯৬৪ সালের ২৫ ডিসেম্বর পাকিস্তান টেলিভিশন নামে চালু হয়েছিল এই প্রতিষ্ঠানটি। এরপর বাংলাদেশের জন্মের পরের বছর সরকারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে দেশ, মাটি ও মানুষের কথা বলার ব্রত নিয়ে যাত্রা শুর করে বাংলাদেশ টেলিভিশন। 

১৯৮০ সালে দর্শকদের রঙিন পর্দা উপহার দেয়ার মাধ্যমে নতুন যুগে পা রাখে এ প্রতিষ্ঠানটি। এখন বিটিভি ওয়ার্ল্ড’র মাধ্যমে দেশের বাইরেও নেটওয়ার্ক বিস্তৃত। পরিবর্তনের ধারাবাহিকতায় করোনাকালেও গণমাধ্যম হিসেবে বিটিভি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে বিটিভি। 

প্রতিষ্ঠানটির জন্মদিন উপলক্ষে চ্যানেল আই প্রাঙ্গণে প্রতিাবরের মতো এবারও বিটিভির সাবেক ও বর্তমান কলাকুশলীদের মিলনমেলা বসেছিল। তারা সকাল ৭টা থেকে চ্যানেল আই প্রাঙ্গণে জড়ো গতে শুরু করেন। শীতের পিঠা-পুলির আমেজ আর সুরের ধারা ও রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যার গানকে সঙ্গী করে। সকাল ১১টা পর্যন্ত খোশ গল্পে মেতে ছিলেন তারা একে অপরের সাথে। 

চ্যানেল আইয়ের উপস্থিত ছিলেন পরিচালক ও বার্তাপ্রধান শাইখ সিরাজ এবং ইমপ্রেস গ্রুপ ও চ্যানেল আইয়ের পরিচালক মুকিত মজুমদার বাবু। অনুষ্ঠানের স্মৃতিচারণের পাশাপশি আরো সঙ্গীত পরিবেশন করেছেন রফিকুল আলম। 

অনুষ্ঠানের বিভিন্ন্ সময়ে স্মৃতিচারণ করেন ফকীর আলমগীর, মামুনুর রশীদ, খায়রুল আলম সবুজ, শাহিদা আলম, আবদুল মান্নান, নাদেও চৌধুরী, অরুনা বিশ্বাস, ঝুনা চৌধুরী, সাদী মহম্মদ, আলী ইমাম, হাফিজুর রহমান সুরুজ, রফিকুল্লাহ সেলিম প্রমুখ। 

অনুষ্ঠানে ফরিদুর রেজা সাগরের লেখা ‘বিটিভির ৫০ বছর’ বইটির মোড়ক উন্মোচন করা হয়। এ সময় উপস্থিত অতিথিদের হাতে বইয়ের একটি করে কপি দেওয়া হয়। 

এমআরএম