আরিয়া রাজেন্দ্রন

বয়স সবে ২১। পড়েন স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষে। পাশাপাশি যুক্ত রয়েছেন রাজনীতির সঙ্গেও। রাজনৈতিক অঙ্গণে সাফল্য পেতেও শুরু করেছেন। তারই ধারাবাহিকতায় এবার মেয়র হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন আরিয়া রাজেন্দ্রন। দক্ষিণ ভারতের কেরালা রাজ্যের এই তরুণী ভারতের সর্বকনিষ্ঠ মেয়র হিসেবে নাম লেখাতে যাচ্ছেন ইতিহাসে। 

কেরালার রাজধানী থিরুঅনন্তপুরম শহরের পৌরসভা নির্বাচনে মুরাভানমুগল ওয়ার্ড থেকে কমিউনিস্ট পার্টির (সিপি-এম) প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিয়ে কাউন্সিলর নির্বাচিত হন আরিয়া রাজেন্দ্রন। আরিয়া ২৮৭২ ভোট পেয়ে কংগ্রেস প্রার্থীকে হারিয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী কংগ্রেস প্রার্থী পেয়েছেন ৫৪৯ ভোট। 

আরিয়া রাজেন্দ্রন অল সেইন্ট কলেজে গণিতে পড়াশোনা করছেন। বাবা কে রাজেন্দ্রন একজন ইলেক্ট্রিশিয়ান এবং মা শ্রীলতা রাজেন্দ্রন এলআইসি এজেন্ট।

নির্বাচিত কাউন্সিলরদের মধ্য থেকে মেয়র হিসেবে একজনকে বেছে নেওয়া হয়। সিপি-এম এর রাজ্য কমিটি মেয়র হিসেবে আরিয়ার নামই সুপারিশ করেছে। তার নাম প্রস্তাবের বিষয়টি অনুমোদন দেবেন সিপি-এম এর রাজ্য সম্পাদক। শনিবার এ নিয়ে বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। অনুমোদনের পর তার শপথ হবে শিগগিরই।  

জয়ের পর থেকেই প্রশংসায় ভাসছেন আরিয়া। দেশটির অনেক রাজনীতিকও তাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।

আরিয়া রাজেন্দ্রন অল সেইন্ট কলেজে গণিতে পড়াশোনা করছেন। আরিয়া কেরালার ক্ষমতাসীন দলের শিশু সংগঠন বালাসংঘমেরও প্রেসিডেন্ট ও ছাত্র সংগঠন স্টুডেন্ট ফেডারেশন অব ইন্ডিয়ার (এসএফআই) নেত্রী।

নির্বাচনে জয় লাভের পর আরিয়া বলেন, ‘আমি অল্পবয়স থেকেই রাজনীতিতে রয়েছি। দলের পক্ষ থেকে যেকোনো দায়িত্ব নিতে বললে, আমি আনন্দের সঙ্গেই তা গ্রহণ করব।’

আরিয়ার বাবা কে রাজেন্দ্রন একজন ইলেক্ট্রিশিয়ান এবং মা শ্রীলতা রাজেন্দ্রন এলআইসি এজেন্ট। নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে উঠে এসেছেন আরিয়া। মুরাভানমুগল ওয়ার্ডেই একতলাবিশিষ্ট বাড়িতে তাদের বসবাস। আরিয়াদের বাড়িতে যাতায়াতের জন্য মোটরযান চলাচলের মতো কোনো সড়কও নেই। 

মেয়র নির্বাচিত হলেও পড়ালেখা চালিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়ে আরিয়া বলছেন, জনগণের সেবার সঙ্গে পড়ালেখাও চালিয়ে নেব।

আরিয়ার সঙ্গে মেয়র হওয়ার দৌঁড়ে ছিলেন আরও তিনজন। তাদের মধ্যে অন্যতম পার্টির জ্যেষ্ঠ নেত্রী জামিলা শ্রীধরন। তবে তাদের মধ্যে নতুন মুখ হিসেবে তরুণী আরিয়াকেই বেছে নিয়েছে সিপি-এম নেতৃত্ব। 

মেয়র নির্বাচিত হলেও পড়ালেখা চালিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়ে আরিয়া বলছেন, জনগণের সেবার সঙ্গে পড়ালেখাও চালিয়ে নেব। মেয়র হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর নগরের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, বর্জ্য ব্যবস্থাপনাসহ সবার জন্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার কথাও জানিয়েছেন তরুণ এই মেয়র।

ছয়টির মধ্যে পাঁচটি পৌরসভাতেই জয় পেয়েছে আরিয়ার দল। পঞ্চায়েত নির্বাচনেও ভালো করেছে দলটি। জয়ের পর থেকেই প্রশংসায় ভাসছেন আরিয়া। দেশটির অনেক রাজনীতিকও তাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।

সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস

এএস