পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় খাইবার পাখতুনখোয়া রাজ্যের কারাক জেলায় মন্দিরে হামলা ঠেকাতে ব্যর্থ হওয়ায় স্থানীয় পুলিশ প্রধানসহ ১২ পুলিশ সদস্যকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত ৩০ ডিসেম্বর এই হামলা হয়।

শুক্রবারের বিবৃতিতে পুলিশ জানায়, হামলার সময় কয়েকজন পুলিশ পালিয়ে যান; যা ‘কাপুরুষোচিত কাজ’ ও ‘দায়িত্বে অবহেলা’ বলে মনে হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন শাস্তি দেওয়া হয়েছে আরও ৪৮ জন পুলিশ সদস্যকে।

পেশোয়ার থেকে ১৬০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বের কারাক জেলায় উনিশ শতকের শুরুতে মন্দিরটি নির্মাণ করা হয়।

জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়েচে ভেলে শুক্রবারের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, মন্দিরে হামলার ঘটনায় প্রায় একশো জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এদের মধ্যে মৌলবাদী জামিয়াত উলেমা-ই-ইসলাম দলের সমর্থকরাও আছেন।

পেশোয়ার থেকে ১৬০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বের কারাক জেলায় উনিশ শতকের শুরুতে মন্দিরটি নির্মাণ করা হয়। ১৯৯৭ সালেও তা একবার ভাঙচুর করা হয়। পরে ২০১৫ সালে সুপ্রিম কোর্ট এটি পুনর্নিমাণের নির্দেশ দেন।

পাকিস্তানের ৮০ লাখ হিন্দু ধর্মাবলম্বীর সবচেয়ে বড় চারটি ধর্মীয় স্থানের মধ্যে এই মন্দির একটি।

পাকিস্তানের ৮০ লাখ হিন্দু ধর্মাবলম্বীর সবচেয়ে বড় চারটি ধর্মীয় স্থানের মধ্যে এই মন্দির একটি বলে হামলার পর জানিয়েছিলেন পাকিস্তান হিন্দু কাউন্সিলের প্রধান ও সরকারি দলের সাংসদ রমেশ কুমার ভাঙকওয়ানি।

পুলিশের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার আগে পুনরায় মন্দিরটি গড়ে তোলার নিশ্চয়তা দিয়েছে সরকার।

এএস