ধৈর্য্যের পরীক্ষা নেবেন না: চীনকে ভারতের সেনাপ্রধান
সীমান্ত নিয়ে চীনের সঙ্গে চলমান বিরোধের প্রেক্ষিতে এবার দেশটিকে স্পষ্ট সতর্কবার্তা দিয়েছেন ভারতের সেনাপ্রধান এমএম নারাভানে।
শুক্রবার ভারতের সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক কুচকাওয়াজে ভারতের সেনাপ্রধান চীনের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘পারস্পরিক বিরোধগুলো আলোচনা এবং রাজনৈতিক উদ্যোগের মাধ্যমে সমাধানের জন্য আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ; কিন্তু কেউ যদি আমাদের ধৈর্য্য পরীক্ষা করতে ষড়যন্ত্রমূলক কোনও পদক্ষেপ নেয়, সেটি হবে খুব বড় রকমের ভুল।’
বিজ্ঞাপন
গালওয়ানের ঘটনা স্মরণ করে নারাভানে বলেন, ‘আমি দেশবাসীকে নিশ্চিত করতে চাই, ভারতীয় সেনাবাহিনীর যেসব বীর গালওয়ানে শহীদ হয়েছেন, তাদের আত্মত্যাগ বৃথা যাবে না। দেশের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তার জন্য ক্ষতিকর কোনো কর্মকান্ড ভারতের সেনাবাহিনী বরদাস্ত করবে না।’
জম্মু-কাশ্মির প্রদেশের লাদাখ এলাকার পূর্বাঞ্চলে গালওয়ান উপত্যকার সীমান্তে গত ১৫ জুন ভারত এবং চীনের সেনাসদস্যদের মধ্যে হাতাহাতি সংঘাত হয়েছিল; এতে নিহত হন ২০ ভারতীয় সেনাসদস্য। ওই ঘটনায় চীন সরকার এখন পর্যন্ত তার সেনাবাহিনীর হতাহতের সংখ্যা প্রকাশ না করলেও যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদন বলছে, সে লড়াইয়ে দেশটির ৩৫ জন সেনাসদস্য নিহত হয়েছিলেন।
বিজ্ঞাপন
এর আগে গত কয়েক দশকে দুই দেশের সেনাসদস্যদের মধ্যে এমন রক্তক্ষয়ী সংঘাত দেখা যায়নি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে দুই দেশের সরকার ও সেনাবাহিনী পর্যায়ে এ পর্যন্ত আট দফা বৈঠক করা হয়েছে উল্লেখ করে নারাভানে বলেন, ‘উভয় দেশের নিরাপত্তা রক্ষায় একটি কার্যকর সমাধান বের করতে ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রচেষ্টা জারি রয়েছে।
পাকিস্তানের সঙ্গে সীমান্তবিরোধের প্রসঙ্গে পাকিস্তানকে সন্ত্রাসীদের ‘স্বর্গভূমি’ হিসেবে উল্লেখ করে ভারতীয় সেনাবাহিনীর চিফ অব স্টাফ বলেন,‘ পাকিস্তান বরাবরই সন্ত্রাসীদের কাছে নিরাপদ স্বর্গভূমি হিসেবে পরিচিত। নিয়ন্ত্রণ রেখা (লাইন অব কন্ট্রোল) জুড়ে যে প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলো রয়েছে, সেখানকার সেগুলো প্রত্যেকটি ৩-৪ শ’ সন্ত্রাসীকে যে কোনো সময় ভারতে অনুপ্রবেশের জন্য প্রস্তুত রাখে বলে খবর রয়েছে আমাদের কাছে।’
‘বর্তমানে দু’দেশের মধ্যে যে যুদ্ধবিরতি চলছে, গতবছর তার ৪০ শতাংশ শর্ত লংঘন করেছে পাকিস্তান সেনাবহিনী। পাকিস্তানের অশুভ পরিকল্পণার সপক্ষে এটি অত্যন্ত জোরাল একটি প্রমাণ। তারা সীমান্তে অস্ত্র চোরাচালান করছে- এমন তথ্যও রয়েছে আমাদের কাছে।’
সূত্র: এনডিটিভি।
এসএমডব্লিউ