ক্ষমতার শেষবেলায় এসে চীনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর এবার ইরানের বিরুদ্ধে নতুন কিছু নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। নতুন এই আদেশের খাঁড়ায় এবার পড়েছে ইরানের নৌপরিবহন, জাহাজ নির্মাণ ও প্রচলিত আগ্নেয়াস্ত্র নির্মাণ শিল্প।

শুক্রবার এক আদেশে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও বলেন, দেশটির নৌপরিবহন ও জাহাজ শিল্পে বিনিয়োগে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে ইরান, চীন এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রতিষ্ঠানগুলোকে। এছাড়া প্রচলিত আগ্নেয়াস্ত্র প্রস্তুতকারী তিনটি ইরানীয় প্রতিষ্ঠানকেও দেয়া হয়েছে বিধিনিষেধ।

তিনি জানান, সাম্প্রতিক এ আদেশের আওতায় চীনভিত্তিক জিয়ানজিং মাস্কট স্পেশাল স্টিল কোম্পানি এবং আমিরাত ভিত্তিক একসেনচার বিল্ডিং ম্যাটেরিয়ালস কোম্পানিসহ ইরানের সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক রয়েছে- এমন ৭ টি কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে।

এছাড়া দেশটির মেরিন ইন্ডাস্ট্রিজ অর্গানাইজেশন, অ্যারোস্পেস ইন্ডাস্ট্রিজ অর্গানাইজেশন এবং ইরান এভিয়েশন ইন্ডাস্ট্রিজ অর্গানাইজেশনকেও কালো তালিকাভূক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পম্পেও।

ইরানে অ্যালুমিনিয়াম, ইস্পাতসহ বিভিন্ন ধাতু রফতানিকারক একাধিক প্রতিষ্ঠানের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে নিষেধাজ্ঞা আদেশে। পম্পেও এ বিষয়ে বলেন- পরমাণু প্রকল্প, সেনাবাহিনী এবং ক্ষেপণাস্ত্রের জন্য প্রয়োজনীয় বিশেষ ধরনের অ্যালুমিনিয়াম ও ইস্পাতের যোগান নিয়ন্ত্রণ করতেই এই বিধিনিষেধ দেয়া হয়েছে।  

২০১৫ সালে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ৬ স্থায়ী সদস্য রাষ্ট্রের সঙ্গে পরমাণু চুক্তি করেছিল ইরান সরকার। চুক্তির শর্ত ছিল- ইরান ধীরে ধীরে পরমাণু প্রকল্প থেকে সরে আসবে এবং এর বিপরীতে দেশটির বিরুদ্ধে থাকা নিষেধাজ্ঞাগুলেও শিথিল করা হবে।

কিন্তু এই চুক্তি বেশিদূর এগোতে পারবে না- অভিযোগ তুলে ২০১৮ সালে অনেকটা অপ্রত্যাশিতভাবেই চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর পর থেকে মেয়াদের বাকি সময়ে নিত্য নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ইরানের ওপর চাপ প্রয়োগ অব্যাহত রেখেছে ট্রাম্প প্রশাসন।  

সূত্র: আলজাজিরা।

এসএমডব্লিউ