লাল পানির বুক চিরে সড়কে মোটরসাইকেল চালাচ্ছেন ইন্দোনেশিয়ার সেন্ট্রাল জাভার জেংগট গ্রামের বাসিন্দারা/ ছবি: রয়টার্স।

ইন্দোনেশিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় জেংগট গ্রাম রক্ত বর্ণের পানিতে ডুবে যাওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তুমুল আলোচনা শুরু হয়েছে। পাশের একটি বাটিক কারখানায় বন্যার পানি ঢুকে পড়ার পর রক্ত-লাল পানিতে ভাসছে জেংগট; তারপরই সেখানকার ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে শুরু হয় আলোচনা।

সেন্ট্রাল জাভার পেকালোঙ্গান শহরের ওই গ্রামটির লালচে রঙয়ের পানিতে ভেসে যাওয়ার ছবি ও ভিডিও হাজার হাজার মানুষ টুইটারে শেয়ার করেছেন। বন্যার এই পানি রক্তের কথা তাদের স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে বলে ছবি শেয়ার করে লিখেছেন অনেকেই।

জেংগটের বাসিন্দা আয়াহ ই আরেক-আরেক টুইটে বলেছেন, আমি খুবই ভীত যে, এসব ছবি গুজব রটনাকারীদের হাতে পড়ে কিনা! গুজবের বিস্তারকারীরা এই ছবি ছড়িয়ে ‌‘পৃথিবী শেষ’, ‘রক্ত বৃষ্টি’সহ নানা ধরনের বর্ণনা হাজির করতে পারে।

কাপড়ের ওপর পানিরোধক রঙয়ের মাধ্যমে অঙ্কনের জন্য বাটিক উৎপাদনে ইন্দোনেশিয়ার পেকালোঙ্গান শহরটি বেশ বিখ্যাত। এই শহরের নদীগুলোর পানির রঙ ভিন্ন ভিন্ন আকার ধারণের ঘটনা অস্বাভাবিক নয়। গত মাসের শেষের দিকে বন্যায় শহরটির উত্তরাঞ্চলের অন্য একটি গ্রাম উজ্জ্বল সবুজ রঙয়ের পানিতে ভেসে যায়।

জেংগটের বাসিন্দা আরিয়া জুলিদ নামের এক টুইটার ব্যবহারী লিখেছেন, কিছু কিছু এলাকার সড়কে বেগুনি রঙয়ের ফেনার আস্তরণও ভাসছে। পেকালোঙ্গানের দুযোর্গ ও ত্রাণ দপ্তরের প্রধান ডিমাস আর্গা ইউধা অনলাইনে যেসব ছবি ছড়িয়ে পড়েছে তার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেছেন, বাটিকের রঙয়ের কারণে লালবন্যার সৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টির পানির সঙ্গে মিশে গেলে এটি আর থাকবে না।

সূত্র: রয়টার্স।

এসএস