যে কারণে সিভিল এভিয়েশন-রেলওয়ের বিরুদ্ধে ডিএনসিসির আইনি ব্যবস্থা

কিউলেক্স মশা নিয়ন্ত্রণে অঞ্চল ভিত্তিক ক্র‍্যাশ প্রোগ্রাম (অভিযান) পরিচালনা করছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। এরই অংশ হিসেবে সোমবার (১৫ মার্চ) বিমানবন্দর রেল স্টেশনের পেছনে, হাজী ক্যাম্প সংলগ্ন এলাকা, আশিয়ান সিটি এবং দক্ষিণখান বাজার এলাকা পরিদর্শন করেন মেয়র আতিকুল ইসলাম।

এ সময় বিমানবন্দরের পিছনে রেলওয়ের একটি খাল, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (সিভিল এভিয়েশন) একটি খালি জায়গায়, হাজী ক্যাম্পের পাশে সীমানা প্রাচীর দিয়ে ঘেরা একটি জলাশয়সহ আশিয়ান সিটির বিভিন্ন স্থানে ময়লা-আবর্জনা, নোংরা-বদ্ধ পানি, কচুরিপানা এবং অসংখ্য মশার লার্ভা দেখতে পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মেয়র। জায়গাগুলো পরিদর্শন শেষে তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ারও নির্দেশ দেন।

বিমানবন্দর স্টেশনের পিছনের অংশ পরিদর্শনকালে আতিকুল ইসলাম বলেন, এটি রেলওয়ের জায়গা। পাশে সিভিল এভিয়েশনের জায়গা। সেটার অবস্থা আরও খারাপ। আমরা চেষ্টা করছি যেগুলো আমাদের জায়গা, সেগুলো পরিষ্কার করতে। কিন্তু রেলের ও এভিয়েশনের জায়গাগুলো, তাদের পরিষ্কার করা উচিত। আমরা সিভিল এভিয়েশনকে ইতিপূর্বেও বিষয়টি বলেছি। এখন তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা ছাড়া আমাদের আর কিছু করার নেই।

তিনি আরও বলেন, যে যার যার মতো চলছে। গালি খাচ্ছি আমরা। এটি হতে পারে না। সিভিল এভিয়েশনের এরিয়া বাউন্ডারি দেওয়া, এর ভিতরে যাওয়া যাবে না। সিভিল এভিয়েশনকে বারবার বলা হচ্ছে, এগুলো পরিষ্কার করার জন্য। এখানে কোটি কোটি মশার লার্ভা। সিভিল এভিয়েশনকে কিছুদিন আগে আমরা একটি ভেহিকেল ফগার মেশিন দিয়েছি, যাতে তারা মশা নিধন করতে পারে।

মেয়র আরও বলেন, কারো বাসার ভিতরে গিয়ে আমাদের পরিস্কার করার কথা না। সিভিল এভিয়েশনের ভিতর আমাদের যাওয়ার কথা না। রেলওয়ের পাশে দেখলেন অনেক ময়লা, অনেক লার্ভা। এটা আসলে রেলওয়ের পরিস্কার করার কথা। আমরা এখন মামলায় যাচ্ছি, সোজা আঙুলে আর হচ্ছে না।

এরপর আশিয়ান সিটি পরিদর্শনকালে তিনি বলেন, এখানে যত বদ্ধ, নোংরা জলাশয় এবং কচুরিপানা আছে, তাতে উৎপাদিত মশা এই এলাকার মানুষকে অতিষ্ঠ করে তোলার জন্য যথেষ্ট।

এদিকে বিকেলে ডিএনসিসির অঞ্চল-৭ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোতাকাব্বীর আহমেদ জানান, বিমানবন্দর রেলস্টেশন, সিভিল এভিয়েশন এবং আশিয়ান সিটির বিরুদ্ধে আদালতে নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে।

মেয়রের পরিদর্শনকালে অন্যান্যের মধ্যে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম রেজা, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জোবায়েদুর রহমান, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মোতাকাব্বীর আহমেদ, ৪৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আলী আকবর, সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর জাকিয়া সুলতানা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এএসএস/এমএইচএস