খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, ভারত বাংলাদেশের পরীক্ষিত পুরাতন বন্ধু। মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের যে সুসম্পর্ক তৈরি হয়েছে, তা দিন দিন আরও সুদৃঢ় হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে মন্ত্রীর নিজ দপ্তরে ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি এ কথা বলেন। এসময় দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তারা আলোচনা করেন। 

বৈঠকে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, প্রতিবেশী দুই দেশের মধ্যে সুসম্পর্ক ও পারস্পরিক বোঝাপড়া ভালো হলে উভয় দেশেরই অর্থনৈতিক উন্নয়ন সহজতর হয়। 

বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে বলেই এই কোভিড মহামারির সময়ও দু'দেশ একসঙ্গে কাজ করছে। এসময় চলমান করোনা মহামারি মোকাবেলায় বাংলাদেশের ভূয়সী প্রশংসা করেন ভারতীয় হাইকমিশনার।

সাক্ষাতকালে বাংলাদেশ সরকারের জিটুজি এবং উন্মুক্ত দর পদ্ধতির মাধ্যমে ভারত থেকে চাল আমদানি যাতে দ্রুততার সাথে সম্পন্ন হয় সেজন্য ভারতের ভেতর অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পোর্টের সকল সুবিধা প্রদানের নিশ্চয়তা দেন ভারতীয় হাইকমিশনার। 

এছাড়াও খাদ্যপণ্যের মানোন্নয়ন, নিরাপদ খাদ্য, টেস্টিং ল্যাবরেটরি, চলমান খাদ্য গুদাম নির্মাণসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে বিস্তারিত আলোচনা হয়। 

এসময় খাদ্য সচিব মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম উপস্থিত ছিলেন।

এসএইচআর/এনএফ