ঢাবির শিক্ষার্থী হতে পেরে আমি গর্বিত : প্রধানমন্ত্রী
অনুষ্ঠানে গণভবন প্রান্ত থেকে যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী / বাংলাদেশ টেলিভিশনের লাইভ থেকে সংগৃহীত
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এমন একটি প্রতিষ্ঠান যা বাঙালি জাতির প্রতিটি ইতিহাসের সঙ্গে জড়িত। ভাষা আন্দোলন, স্বাধীনতা অর্জনসহ প্রতিটি সংগ্রামের সূতিকাগার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। কাজেই এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী হতে পেরে আমি সত্যিই খুবই গর্বিত।’
বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষের অনুষ্ঠান উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে ‘সেলিব্রেটিং দ্য হানড্রেড ইয়ারস অব দ্য ইউনিভার্সিটি অব ঢাকা : রিফ্লেকশন ফ্রম দ্য অ্যালামনাই-ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড ন্যাশনাল’ শীর্ষক অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে শতবর্ষের অনুষ্ঠান শুরু হয়। অনুষ্ঠানে গণভবন প্রান্ত থেকে যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বিজ্ঞাপন
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘শুধু আমি নয়, আমার পরিবারের সবাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন। আমার ছোট ভাই শেখ কামাল ঢাবির ছাত্র ছিল, সবেচেয়ে ছোট্ট ভাই শেখ রাসেলও ঢাবির ল্যাবরেটরি স্কুলের ছাত্র ছিল। আমার স্বামীও ঢাবির একটি হলের ভিপি (সহসভাপতি) ছিলেন। আমার পরিবারের অনেকেই ঢাবিতে পড়াশোনা করেছে। সবচেয়ে বড় কথা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানও এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন এবং এখানে থেকেই সকল অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন এবং নেতৃত্বে দিয়েছেন।’
তিনি বলেন, ‘আমরা চাই, এই বিশ্ববিদ্যালয় আবার তার গৌরব ফিরে পাবে। এখানে জ্ঞানের চর্চা হবে, গবেষণা হবে, শিক্ষার প্রসার ঘটবে এবং তার আলো ছড়িয়ে পড়বে সমস্ত বাংলাদেশে। আমরা চাই ঢাবি সব সময় অগ্রণী ভূমিকা রাখবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে শুধু একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে দেখলে হবে না। এটি এমন একটি প্রতিষ্ঠান যা সমগ্র বাংলাদেশকে পথ দেখিয়েছে। সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে দক্ষ মানবসম্পদ দরকার। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এটি শুরু হবে। কেননা এই বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে সবকিছুর কেন্দ্রবিন্দু।’
বিজ্ঞাপন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নের জন্য মাস্টারপ্ল্যান করা হয়েছে। এখন ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা বেড়েছে। আমার পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা পাবে। অন্তত অ্যালামনাই হিসেবে আমি এটা বলতে পারি।
শেখ হাসিনা, প্রধানমন্ত্রী, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
বাঙালির প্রতিটি ইতিহাসের সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জড়িত উল্লেখ করে সরকারপ্রধান বলেন, ‘রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক অধিকারসহ দেশের গণতান্ত্রিক সকল আন্দোলনের সূতিকাগার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। অতীতের ন্যায় এখনও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সর্বক্ষেত্রে নেতৃত্ব দেবে বলে আমি বিশ্বাস করি।’
পদ্মা সেতু প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এক যুগ ক্ষমতায় আছি বলেই নিজস্ব অর্থায়নে আমরা পদ্মা সেতু করতে পেরেছি। সবার ধারণা ছিল, বাংলাদেশ সবার কাছে হাত পেতে চলতে হবে। কিন্তু পদ্মা সেতু করে আমরাই প্রথম দেখিয়ে দিয়েছি আমরাও পারি। বাঙালিকে সবসময় মাথা উঁচু করে চলতে হবে।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে উদ্বোধন অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক রেহমান সোবহান। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মাকসুদ কামাল এবং উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক সামাদ।
এফআর