লক্ষ্যমাত্রা ছাড়ালেও উৎপাদন কমেছে চায়ের

২০২০ সালে দেশের ১৬৭টি চা বাগান এবং ক্ষুদ্রায়তন বাগান থেকে মোট ৮৬ দশমিক ৩৯ মিলিয়ন কেজি চা উৎপাদন হয়েছে। তবে এ বছর শুধু উত্তরবঙ্গে সমতলের বাগান থেকে রেকর্ড ১০ দশমিক ৩০ মিলিয়ন কেজি চা জাতীয় উৎপাদনে যুক্ত হয়েছে। যা গত বছর ছিল ৯ দশমিক ৬০ মিলিয়ন কেজি।  

২০২০ সালে চা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৭৫ দশমিক ৯৪ মিলিয়ন কেজি।

বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) বাংলাদেশ চা বোর্ডের জনসংযোগ ও শ্রমিক কল্যাণ কর্মকর্তা মো. রাজিবুল হাসান পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।  

বাংলাদেশ চা বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মো. জহিরুল ইসলাম জানান, করোনা পরিস্থিতিতেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে দেশের সব চা বাগানের কার্যক্রম স্বাভাবিক ছিল। উৎপাদনের পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চা নিলাম কেন্দ্র চালু রাখা, সঠিক সময়ে ভর্তুকি মূল্যে সার বিতরণ, বাগানে কঠোরভাবে কোভিড প্রটোকল নিশ্চিত, চা শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি, রেশন এবং স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে ২০২০ সালে চা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে।

তিনি বলেন, করোনা পরিস্থিতিতেও উৎপাদনের ধারাবাহিকতা থেকে এটাই প্রতীয়মান হয় যে, যেকোন প্রতিকূল পরিস্থিতিতে দেশের চা শিল্প উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সক্ষম। অর্থ্যাৎ চা শিল্পের সক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে।

তিনি আরও জানান, উত্তরবঙ্গে চাষীদের ‘ক্যামেলিয়া খোলা আকাশ স্কুল’র মাধ্যমে চা চাষ বিষয়ে হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ প্রদান এবং আধুনিক প্রযুক্তি সরবরাহের ফলে সমতলের চা বাগান ও ক্ষুদ্রায়তন চা বাগান থেকে এ বছর রেকর্ড পরিমাণ চা উৎপাদন সম্ভব হয়েছে।

গত বছর বাম্পার ফলনের ফলে দেশে ৯৬ দশমিক ০৭ মিলিয়ন কেজি চা উৎপাদন হয়েছিল। এবছর করোনার কারণে হোটেল, রেস্টুরেন্ট বা চায়ের দোকানে জনসমাগম কমে যাওয়ায় চা’র চাহিদা প্রায় ১০-১৫ শতাংশ কমেছে।

অপরদিকে প্রতিকূল আবহাওয়ায় এ বছর চায়ের উৎপাদন কমেছে ১০ শতাংশ। ফলে গত বছরের তুলনায় উৎপাদন কম হওয়া সত্ত্বেও বাজারে চা’র চাহিদা ও যোগানে ভারসাম্য বজায় রয়েছে।

এসআরএস