বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অনিয়মতান্ত্রিক উপায়ে যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া স্থগিত রাখার দাবি জানিয়েছে মুক্তিযোদ্ধা ঐক্য মঞ্চ। মঙ্গলবার (২৬ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সংগঠনটি আয়োজিত এক সমাবেশ থেকে এ দাবি জানানো হয়।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, বিগত দিনে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই-বাছাইয়ে নানা অনিয়ম দুর্নীতি দেখা গিয়েছে। তাছাড়া বর্তমানে জেলা, উপজেলা পর্যায়ে যাচাই-বাছাইয়ে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) পত্র-পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে নানান ধরনের তথ্য পরিবেশন এক ধরনের হয়রানি ও বিভ্রান্তিকর। যুদ্ধ চলাকালীন কমান্ডার, পরীক্ষিত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের যারা প্রচলিত নিয়ম অনুসারে ভারতীয় তালিকা, মুক্তিবার্তার তালিকা, প্রকাশিত গেজেট এবং স্বাক্ষরিত সনদ রয়েছে তাদের ঢাক-ঢোল পিটিয়ে যাচাই-বাছাই করার মানে হলো মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থী কাজ।

তারা আরও বলেন, যদি গেজেটভুক্ত মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা রাজাকার, আল-বদর, আল-শামস থাকে, তবে যাচাই করে তাদের গেজেট বাতিল করা হোক। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই-বাছাইয়ের বিষয়টি অত্যন্ত অপমানজনক এবং দুরভিসন্ধিমূলক। ভারতসহ বিশ্বের সব দেশ তাদের চেতনা বাস্তবায়নের জন্য স্ব স্ব প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সার্বিক রক্ষণাবেক্ষণ করে থাকে। কিন্তু একমাত্র বাংলাদেশেই বীর মুক্তিযোদ্ধা তথা তাদের পরিবার রক্ষণাবেক্ষণের সুনির্দিষ্ট কোনো নীতিমালা নেই।

তারা দাবি জানিয়ে বলেন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিল, জেলা কমান্ড, কমিটি গঠন করে মুক্তিযোদ্ধাদের কার্যালয় খুলে দিতে হবে। স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে বীর মুক্তিযোদ্ধারা তাদের ৫০ বছর পূর্তি পালন করার জন্য মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শ সমগ্র জাতির কাছে তুলে ধরতে হবে।

সমাবেশে থেকে আগামী ৩০ জানুয়ারি দেশের সব জেলা-উপজেলায় প্রতিবাদ সমাবেশ ও অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।

সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ ঐক্য মঞ্চের সভাপতি রুহুল আমিন মজুমদার, সাধারণ সম্পাদক জহির উদ্দিন জালাল (বিচ্চু জালাল), আওয়ামী মুক্তিযোদ্ধা লীগের সভাপতি মুজিবুর রহমান প্রমুখ।

এইচএন/এসএম