এই মুহূর্তে বাংলাদেশ ক্রিকেটে যেন এক রহস্যের নাম মাশরাফি বিন মুর্তজা। ৩৭ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার কি শেষপর্যন্ত ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে আসন্ন সিরিজে দলে থাকবেন? এনিয়ে এখনো ধোঁয়াশা কাটেনি। জানুয়ারির শুরুর দিকে দল ঘোষণা করতে চাওয়া নির্বাচকরাও এই ব্যাপারে মুখ খুলতে রাজি নন। তবে মাশরাফির জাতীয় দলের সতীর্থ, পেসার আল আমিন হোসেন তাকে দলে চান।

গুঞ্জন ছিল ২০১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপের পরেই ক্রিকেটের পাঠ চুকিয়ে দিবেন মাশরাফি। তবে তিনি নিজে এই বিষয়ে নিরব ছিলেন। বিশ্বকাপের পরেও টাইগারদের জার্সিতে আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলছেন মাশরাফি। সবশেষ গত মার্চে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজে অধিনায়ক পদ থেকে সরে দাঁড়ান নড়াইল এক্সপ্রেস। তবে ঠিক কবে নাগাদ খেলা থেকে অবসর ঘোষণা করবেন, সে বিষয়ে মুখ খোলেননি মাশরাফি।

সেই সিরিজের পর করোনা প্রভাব বিস্তার করে বাংলাদেশে। বন্ধ থাকে খেলা। দীর্ঘদিন পর ঘরের মাঠে উইন্ডিজ সিরিজ দিয়ে ক্রিকেটে প্রত্যাবর্তন করবে বাংলাদেশ। আগামী জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে হতে যাওয়া সেই সিরিজের আগে সদ্য সমাপ্ত বঙ্গবন্ধু টি-টয়েন্টি কাপে বল হাতে আলো ছড়িয়েছেন মাশরাফি। কুঁড়ি ওভারের ফরম্যাটে প্রথমবারের মতো ৫ উইকেট নিয়ে পারফরম্যান্সের প্রশ্নকে বুড়ো আঙুল দেখিয়েছেন।

এরপরই ক্রিকেট সমর্থকদের বড় একটি অংশ চাচ্ছেন, মাশরাফি উইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে দলে থাকুক। এনিয়ে ভাবনা আছে খোদ ক্রিকেট বোর্ডেরও। তবে শেষ পর্যন্ত মাশরাফি দলে সুযোগ পাবেন কিনা সেই রহস্যের জট খোলেনি এখনো। তবে মাশরাফির জাতীয় দলের সতীর্থ পেসার আল আমিন তাকে দলে চান। জানান, মাশরাফির থাকাটা দলের জন্যই মঙ্গল হবে।

শনিবার গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে আল আমিন বলেন, ‘উনার (মাশরাফি) সাথে খেলেছি। সবকিছু মিলিয়ে উনি খুব ভাল একজন লিডার। যতদিন একসঙ্গে আমরা ফিটনেস নিয়ে কাজ করেছি, বা একটা ওয়ানডে টুর্নামেন্ট খেলেছি। সে হিসেবে মাশরাফি ভাই অনেকদিন ইনজুরড ছিল। সবকিছু মিলিয়ে উনি আসছেন, আর ওনার সেরা পারফর্মটাই করেছেন। আমার কাছে মনে হয় উনি ভাল ছন্দেই আছেন, যদি দলে সুযোগ হয়, তাহলে দলের জন্য ভাল হবে।’ 

এদিকে সদ্য সমাপ্ত বঙ্গবন্ধু কাপে মাশরাফির সঙ্গে একই দল জেমকন খুলনার হয়ে খেলছেন  আল আমিন। মাশরাফি যেখানে বল হাতে আলো ছড়িয়েছে, সেখানে নিষ্প্রাণ ছিলেন আল আমিন। ৯ ম্যাচে মাঠে নেমে মোটে ৫টি উইকেট নিয়েছেন তিনি। নিজের এমন পারফরম্যান্সে তৃপ্ত নন এই ডানহাতি পেসার।

আল আমিন বলেন, ‘যে টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টটি হলো সেটির পারফরম্যান্স যদি মূল্যায়ন করতে বলেন, আমি বলব সবমিলিয়ে ভালো হয়নি, তবে আরো ভালো হতে পারত।’

‘সবসময়ই ন্যাশনাল টিমে খেলার টার্গেট থাকে। এমন কিছু করতে চাই যাতে বাংলাদেশের জয়ে অবদান রাখতে পারি। এই বিষয়ে (উইন্ডিজ সিরিজে দলে থাকা) আমি মন্তব্য করতে চাই না। কে দলে থাকবে, আমিও থাকব কিনা এটা আসলে টিম ম্যানেজমেন্ট বা নির্বাচক যারা আছেন বা কোচিং স্টাফ যারা আছে্ন তারা ভাল বুঝবেন।’- যোগ করেন আল আমিন।

টিআইএস/ এমএইচ